5G spectrum auction শেষ হয়ে গিয়েছে বহুদিন। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে প্রস্তুতি নেওয়ার চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো দেশের সমস্ত টেলিকম সংস্থাকে। এর আগে সরকারের তরফে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছিলেন যে ১২ অক্টোবরের মধ্যেই দেশের মোট ১৩ টি শহরে চালু হয়ে যাবে 5G পরিষেবা। আর অবশেষে সেইদিন চলেই এলো।
চলতি মাসে শারদীয়া দুর্গোৎসবের মধ্যেই বড়ো খবর নিয়ে এলো কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার চালু হতে চলেছে 5G ইন্টারনেট পরিষেবা। আর তাও আবার গতকাল অর্থাৎ দেবী দুর্গার বোধনের দিনই। এই উৎসবের মরশুমে দেশবাসীর জন্য এর চেয়ে ভালো খবর আর কীইবা হতে পারে? তাহলে চলুন জেনে নিই সমস্ত খুঁটিনাটি।
সুত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ওরফে IMC তে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হতে চলেছে 5G নেটওয়ার্কের। তবে তার আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার ঠিক কোন কোন শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। এবং ঠিক কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে এতে!
ইতিমধ্যেই আমরা 4G ব্যবহার করে দেখেছি। তাতে সাধারণত ২০ms থেকে 80ms বা তার বেশিও ল্যাটেন্সি দেখা যায়। কিন্তু 5G-তে চেষ্টা থাকবে এই ল্যাটেন্সিকে ১০ms-এরও কম করে বেতার মোবাইলের সিগন্যালকে ব্রডব্যান্ডের মতো তৈরী করা। পাশাপাশি 4G নেটওয়ার্কে একটা সিমীত স্পিড থাকে। যারফলে 4K স্ট্রিমিং বা HDR10 স্ট্রিমং-র মতো উন্নত প্রযুক্তির ভিডিও চালানো সমস্যাজনক হয়।
এদিকে 5G-র সৌজন্যে এই স্পিড বাড়িয়ে করা হবে ৩০০mbps অবধি। এতে অনলাইন গেমিং থেকে শুরু করে ভিডিও দেখা, অফিসের কাজকর্ম সবকিছুই হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ। এরমধ্যে লাখ টাকার প্রশ্ন হলো, দেশের মানুষজন ইতিমধ্যেই যে ফোন ব্যবহার করছে তাতেই কি 5G চলবে নাকি এর জন্য নিতে হবে নতুন মোবাইল?
5G-র ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক ব্যান্ড। বাণিজ্যিকভাবে ১৩ টি এবং সেখানে নিলাম হয়েছে মোট ৫টি ব্যান্ড। জানিয়ে রাখি, এই ব্যান্ড নির্ভর করে তার সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সির উপরে।
ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের নাম
900mHz N8
1800mHz N3
2100mHz N1
3300mHz N78
26gHz N258
এবার নিজের নিজের ফোনে চেক করে নিন যে, উপরোক্ত ব্যান্ডগুলি আপনার ফোন সাপোর্ট করে কি না!
কবে থেকে পাওয়া যাবে 5G পরিষেবা : আজ থেকে 5G পরিষেবা চালু হলেও তা সমস্ত দেশবাসীর হাতে আসতে এখনও সময় লাগবে। আপাতত দেশের চারটি বড়ো শহর যেমন দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতাতে চালু হবে 5G নেটওয়ার্ক। ইতিমধ্যেই জিও নিয়ে এসেছে স্ট্যান্ডঅ্যালোন 5G, এদিকে এয়ারটেলও তাদের নন স্ট্যান্ডঅ্যালোন 5G লঞ্চ করার জন্য প্রস্তত। তবে ঋণগ্রস্ত ভোডাফোন আর আইডিয়া এখনও এই বিষয়ে নীরব।