বন্দে ভারতকে টেক্কা দেবে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস! সাধারণ মানুষের জন্য থাকছে ফার্স্ট ক্লাস সুবিধা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতীয় রেল(Indian Railways) ব্যবস্থার অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস(Vande Bharat Express)। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আদলে এই তৈরি হওয়া বন্ধে সাধারণ ট্রেনটিকে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস বলা হবে। এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে টক্কর দেওয়ার পালা অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের(Amrit Bharat Express)। বর্তমান সময়ের সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্ধে ভারত ভারতীয়দের ভ্রমণকে অনেক বেশি সুন্দর এবং দ্রুততম করে তুলেছে।

তবে এই অমৃত ভারত এক্সপ্রেস মূলত তৈরি করা হয়েছে দেশের শ্রমজীবী মানুষদের কথা মাথায় রেখে। যারা স্লিপার ক্লাসে চড়ে ভ্রমনে যান। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া সাধারণ ট্রেনের থেকে মাত্র ১৫ শতাংশ বেশি হবে। এই ট্রেনেও পুশ এবং পুল সিটের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। বন্দে ভারত এবং পিএমইউ ট্রেনগুলি এই পুশ-পুল প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুতগতি অর্জন করতে পারে।

রেলের আধিকারিকদের মতানুসারে ২২ কোচের এই ট্রেনটি রাজধানী, শতাব্দি এবং বন্দে ভারতের লাইনে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। এই ট্রেন গেরুয়া বা কমলা রঙের ইঞ্জিনে হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ট্রেনের কোচের জানালার ওপরে ও নিচে কমলা রঙের ডোরা দাগ থাকবে। আর এই ট্রেনে শুধুমাত্র স্লিপার ও সাধারণ শ্রেণীর কোচ থাকবে। অমৃত ভারত এক্সপ্রেস খুব দ্রুত পিকআপ নিতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন: মালগাড়ির কেবিনে কেন বিদ্যুৎ, জল থাকে না! ভারতীয় রেলের আজব নিয়ম শুনলে অবাক হবেন

কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশের প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস দুটো রুট দিয়ে শুরু হবে। মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাব, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, বাংলা এবং মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলিতে চালানো হবে। এছাড়া ভারতের দক্ষিণ দিকের রাজ্যগুলোও এই ট্রেনের সুবিধা পাবে। যদিও এখনো পর্যন্ত গন্তব্য চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে প্রথম পর্যায়ে মুম্বাই, পাটনা, চেন্নাই এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বেশকিছু রুট যুক্ত করা হবে।

বন্দে ভারত ও অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে কি কি তফাৎ?
এই অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে বিভিন্ন দিক থেকেই আলাদা হবে। ট্রেনটি ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের যাত্রাতে ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি এই ট্রেনটি দিন ও রাতে ভ্রমণের জন্য কাজে লাগানো হবে। এই ট্রেনে ১২টি স্লিপার এবং ৪ টি অসংরক্ষিত কোচ থাকবে। এছাড়াও লাগেজের জন্য দুটো কোচ থাকবে। ট্রেনে ১৮০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। পাটনা-নয়া দিল্লি, হাওড়া-নয়া দিল্লি, হায়দরাবাদ-নয়া দিল্লি, এরনাকুলাম-গুয়াহাটি, তাম্বারাম-হাওড়া, দিল্লি-যোধপুর-বান্দ্রা টার্মিনাস, এবং জম্মু- চেন্নাই রুটে চলবে।

Papiya Paul

X