নিউজশর্ট ডেস্কঃ পৃথিবীর মধ্যে যতগুলো দামি মশলা উৎপাদিত হয়। তার মধ্যে সবথেকে অন্যতম দামি মশলা জাফরান(Jafran)। আর ভারতে পৃথিবীর মধ্যে মোট উৎপাদিত জাফরানের মাত্র পাঁচ শতাংশ উৎপাদিত হয়। আবার এই পাঁচ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৯০%ই জম্মু-কাশ্মীরে উৎপাদিত হয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে জাফরানের চাষ না হওয়ার জন্য এর চাহিদা অনেক বেশি।
তবে এবার সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। তার বন্ধু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই এই নতুন চিন্তাভাবনা তার মাথায় আসে। এই ব্যক্তির নাম নিলয় বিশ্বাস। পেশায় তিনি একজন আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের কর্মী। নিজের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিজের ঘরকে বেছে নিয়েছেন নিলয়।
নিজের ঘরের মধ্যে ৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থ এবং ৯ ফুট উচ্চতার একটি থার্মোকলের ঘর তৈরি করে সেটার মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে তার মধ্যে আবার দুটো এসির সাহায্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে জাফরান ফুল ফোটানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এই পদ্ধতিকে বলা হয় এরোপনিক্স পদ্ধতি। সত্যি সত্যিই তার এই পদ্ধতি বাস্তবে কাজে লেগেছে।
এর জন্য প্রথমে তিনি কাশ্মীর থেকে অনলাইনে ৭ কেজি বাল্ব নিয়ে আসেন। তার মধ্যে থেকে পাঁচ কেজি বাল্ব তিনি আগস্ট মাসে রোপণ করেন। এর মধ্যে ছিল ১৮০ টি জাফরান বীজ। এই বীজের মধ্যে থেকে ১৫০ টি গাছে নভেম্বর মাসে ফুল ফুটতে শুরু করে দিয়েছে। এই ঘরের মধ্যে এই চাষ করার জন্য ঘরের তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে রাখা হয়েছে। এর সাথেই ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম আলো।
একেবারে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলায় খুব আনন্দিত হয়েছে নিলয় বাবু। বাংলার বুকে এই জাফরান চাষ করে বেশ মোটা অংকের টাকা তিনি রোজগার করতে চলেছেন এমনটা বোঝা যাচ্ছে। আর এই টাকা যে তিনি বন্ধুর চিকিৎসার জন্য খরচ করবেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।