একটা সময় অভিনয় জগতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তেলেগু ছবিতে অভিনয় করে লাইম লাইটে আসেন। এরপর অভিনয় জগত, রাজনৈতিক ময়দান সর্বত্র দাপট চলেছে তাঁর। আশির দশকে তিনিই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। তিনি জয়া প্রদা(Jaya Prada)
অভিনেত্রীর জন্ম অন্ধ্রপ্রদেশে। তাঁর আসল নাম ললিতা রানি। স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাচের পারফরম্যান্স করেই দক্ষিণী পরিচালক কে.বিশ্বনাথের নজরে পড়েন তিনি। তখন অভিনেত্রী বয়স মাত্র ১২। ‘ভূমি কোসাম’ ছবিতে একটি গানে প্রথম দেখা যায় তাঁকে। সেই থেকেই তিনি ললিতা থেকে হয়ে ওঠেন জয়া প্রদা।
দক্ষিণী ছবির পরিচালক কে.বিশ্বনাথের হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন। রাতারাতি তিনি হয়ে ওঠেন ভক্তদের সেনসেশন। এরপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেন। দক্ষিণী ছবিতে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর বলিউড জগতে পা রাখেন এই অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর প্রথম দক্ষিণী ছবি ফের হিন্দিতে বানিয়েছিলেন পরিচালক। সেই ছবিতে অভিনয় করেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন অভিনেত্রী জয়া প্রদা। যদিও প্রথমে সেভাবে হিন্দিতে কথা বলতে পারতেন না তিনি। তবে আস্তে আস্তে এই ভাষা শিখে সাবলীল হয়ে ওঠেন। তবে একাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও তাঁর অভিনীত ‘তোফা’ ছবি তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ১৯৮৪ সালে বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
অভিনয় জগত বা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সর্বত্রই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই সুখের ছিলনা তাঁর। জানা যায়, ছবির প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহতার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যদিও সে সময় পরিচালক ছিলেন বিবাহিত। এমনকি তিনটি সন্তানও ছিল তাঁর। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই বলি সুন্দরীকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী মা হতে চাইলেও সেই সুখ থেকে তাঁকে বঞ্চিত রেখেছিলেন তাঁর স্বামী। এমনকি স্ত্রী হিসেবে মেলেনি যোগ্য সম্মান টুকুও।
বর্তমানে অভিনয় জগত থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন অভিনেত্রী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সদা সক্রিয় তিনি। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একাধিক পোস্ট করেন অভিনেত্রী। মাত্র কয়েকদিন আগেই অভিনেত্রীর গুরু তথা পরিচালক কে.বিশ্বনাথ পরলোক গমন করেন। গুরুর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন জয়া প্রদা।