বলিউডের সাথে যেন আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক তার। রোজদিনই বলিউডের কোনো না কোনো তারকার পেছনে লেগেই থাকেন তিনি। কখনোও সিনেমার নেগেটিভ রিভিউ তো কখনও আবার তারকাদের লেগ পুলিং। সবে মিলিয়ে বলিউডকে ছোটো দেখানোর কোনো জায়গাই ছাড়েননা তিনি।
হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি স্বঘোষিত ফিল্ম ক্রিটিক কমল রসিদ খান ওরফে ‘কেআরকে’-কে নিয়ে। কোনো না কোনো কারণে রোজই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিতে দেখা যায় তাকে। বিশেষ করে তিন খান সুপারস্টারদের উপরে তাঁর ক্ষোভ চিরকালের। তবে সম্প্রতি তার টার্গেটে চলে এসেছে করিনা কাপুর, আলিয়া ভাট, বিপাশা বসুর মতো তারকারা।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বলিউডে ব্যাকফুটে বলিউডেরই তারকারা। ছবি হোক কি অনুষ্ঠান সবেতেই নেগেটিভ দিক খুঁজে বার করছে নেটিজনরা। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করতে করতে তলানিতে এনে নামিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি, এমনটাই দাবি সাধারণ মানুষের। এই কারণেই, বলিউডের সমস্ত তারকাদেরই নিশানা বানাচ্ছে তারা। আর একের পর এক বিষ্ফোরক টুইটে কার্যত তাদের ইন্ধন জোগাচ্ছেন কেআরকে।
This is the difference between Shameless People and cultured family people. pic.twitter.com/yrIFWlebSJ
— Kamal Rashid Kumar (@kamaalrkhan) August 24, 2022
সম্প্রতি এক টুইটে বলিউড আর দক্ষিণী তারকাদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার ছবির কোলাজ শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে একদিকে বলি অভিনেত্রী বিপাশা, করিনা, লিসা হায়ডন, কঙ্গনা সেন শর্মার নগ্ন বেবি বাম্পের ফটোশুট আর অপরদিকে দক্ষিণী তারকাদের স্ত্রী’দের ট্র্যাডিশনাল পোশাকে গর্ভাবস্থার ছবি। সাথে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন, ‘এটাই পার্থক্য নির্লজ্জ মানুষজন আর মার্জিত পরিবারের মধ্যে।’
খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার এই টুইটের পর বলিউড ভার্সেস সাউথ বিতর্ক আরো একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। কিছু মানুষ ‘কে আর কে’ এর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করলেও প্রচু্র সমর্থকও দেখা গেলো কমেন্ট বক্সে। অনেকের মতেই ‘কে আর কে’-এর বলার ভঙ্গি অথবা শব্দ চয়ন ঠিক না হলেও বক্তব্য ভুল নয়।
এক ইউজার বলেছেন, “এটা তাদের ব্যক্তিগত চয়েস, এই নিয়ে কথা বলা উচিত নয়”। তেমনই আরো এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, “বলিউড আনকালচার্ড, টলিউডের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত”। এক জনৈক ব্যক্তি লিখেছেন, “নগ্নতা সুন্দর, কিন্তু মাতৃত্বকে এইভাবে দেখানো আমাদের সংস্কৃতি নয়। প্রতিটি জিনিসের স্থান কাল পাত্র থাকে। সর্বোপরি নিজেদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে শেখা উচিত”।