বিপদের ঘনঘটা লেগেই রয়েছে ভুবন বাদ্যকরের জীবনে। আর এখন তো বিপদ এমন যে, এবার নাকি নিজের বাড়ি ছেড়েই পালাতে হয়েছে ভুবনকে। কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। সেই তিনিই এখন রয়েছেন ভাড়াবাড়িতে।
সূত্রের খবর, নিজের বিরাট অট্টালিকা থাকা সত্ত্বেও ২৭০০ টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন ভুবন এবং তার পরিবার। এমনিতেই এখন কপিরাইটের জেরে তার গান প্রায় চলছেনা বললেই চলে। অর্থাৎ আয় প্রায় শূন্যের দিকে। ছেলের ঐ নামমাত্র রোজগারটুকুই ভরসা কেবল। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি।
এতদূর শুনে সবার মনে যে প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে যে, কী এমন হল যে, বাড়ি ছাড়তে হল ভুবনকে? তাছাড়া গান গেয়ে, শো করে, তিলতিল করে টাকা রোজগার করে যে বাড়ি তিনি তৈরি করেছিলেন, সেই সাধের বাড়ি ছেড়ে তিনি চলে গেলেনই বা কীভাবে! এর নেপথ্য কারণটা ঠিক কী?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামে ভুবন বাদ্যকরের বাড়ি। কাঁচা বাদাম গানটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ভালোই জনপ্রিয়তা বেড়েছিল তার। গান গেয়ে বেশকিছু রোজগারও করেন। ভাঙা ঝুপড়ির পরিবর্তে তৈরী করেন প্রাসাদপ্রম অট্টালিকা।
মিডিয়ার খবর, একটু পরিচিতি পাওয়ার পর থেকেই ভুবন বাবুর বাড়িতে শুরু হয় চাঁদার জুলুম। বিভিন্ন সময়ে মানুষ এসে ৫০০, ১০০০ টাকার চাঁদা কেটেছে ভুবনবাবুর নামে। আবার টাকা না পেলে ভয় দেখানোও শুরু হয়েছিল তাকে। আর তাতেই অতিষ্ঠ ভুবনবাবুকে পালাতে হয় নিজের গ্রাম ছেড়ে।
ভুবন বাবুর কথায়, ‘বেশ কয়েকমাস হল গ্রাম ছেড়ে চলে এসেছি| দুবরাজপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকছি| মাসে মাসে অনেকটাকা ভাড়া দিই| এখন তো রোজগার নেই| ভাড়া কদিন টানতে পারব জানি না| বাড়ি বানিয়েছি গ্রামে| সেই বাড়িতেই থাকতে পারছি না| বাদাম গান আমাকে পরিচয় দিয়েছে, আবার এই গানের কারণেই এখন বাড়িছাড়া।’