Papiya Paul

অল্প বয়সেই ড্রাগ-কোকেনের নেশায় আসক্ত, নেশা করতে না পারলেই ঝাঁপ মারতে চাইতেন কুইন ‘কঙ্গনা’

বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন বলতে একজনকেই বোঝায়, তিনি হলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তার জীবনে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। যখনই কোনো কিছু মন্তব্য করেন সেটি বিতর্কের আকার নিতে সময় নেয় না। বহুবার বহু বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে কঙ্গনার। আর এই বিতর্কের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। বলিউডে প্রবেশের সময় থেকে তার কোন গডফাদার ছিল না। নিজের দক্ষতাতে তিনি বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন।

   

এই মুহূর্তে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তবে জানা যায়। একসময় তিনি মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন। বলিউডে পা দেবার সময় থেকেই কোকেনের নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী নিজেই একসময় জানিয়েছিলেন, কিশোরী বয়সে তিনি ড্রাগ এডিক্ট হয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর খারাপ সঙ্গে পড়ে ড্রাগের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি এতটাই ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছিলেন যে মৃত্যুর মাধ্যমেই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হবে বলে মনে করতেন।

তবে এই কঠিন সময়ে একজন মানুষই তার জীবনে পথ চলার নতুন পথ দেখান। তিনি হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ধ্যান আর যোগাভ্যাসের মাধ্যমেই জীবনের এই কঠিন সমস্যা কাটিয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর থেকেই স্বামীজীকে গুরু হিসেবে তিনি বেছে নেন। আর প্রায় দু’বছর ব্রহ্মচর্য পালন করেছিলেন। একসময় তিনি প্রায় চেন স্মোকার ছিলেন। অভিনেত্রী নিজেই বলেন, তার বয়স যখন মাত্র ১৯ বছর, সেই সময় ‘লমহে’ ছবির শ্যুটিং-এ করছিলেন।

সেখানে তার চরিত্রটা বেশ ট্রমাটাইজড ছিল। এজন্য তার স্নায়ুর উপরে ভীষন চাপ পড়ত। এর ফলে তিনি শর্ট থেকে বেরিয়েই সিগারেট ধরিয়ে দিতেন। এরপর ধীরে ধীরে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এরপর প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টা সিগারেট খেতেন প্রতিদিন। এরপর ধীরে ধীরে নেশায় আসক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও এখন নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছেন অভিনেত্রী।