বিতর্ক তার পেছনে ঘোরে নাকি তিনি বিতর্কের পেছনে ঘোরেন তা বলা মুশকিল। নামের চেয়ে বেশি তো কন্ট্রোভার্সি কুইন বলেই বেশি চেনে তাকে। রাজনৈতিক থেকে অরাজনৈতিক, কোনো বিষয়েই মন্তব্য করতে পিছপা হন না তিনি। কিন্তু মজার বিষয় হলো যে, তার প্রতিটি বিষয় নিয়েই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক আর সমালোচনা। সম্প্রতি নিজেকে, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্রবাদী’ বলে দাবি করলেন অভিনেত্রী।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ প্রোজেক্টের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মহান বিপ্লবী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ মূর্তির উদ্বোধন করেন তিনি। স্বাধীনতার পর দেশমাতার বীরপুত্রকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া হলো। এইদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনাও। আর সেখানেই আবারও এক বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনার কথায়, “আমি চিরদিন বলে এসেছি আর আজও বলব যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং বীর সাভারকরের মতো কয়েকজন বিপ্লবীদের জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ভিক্ষা চেয়ে এই স্বাধীনতা আসেনি, নিজেদের অধিকারে পেয়েছি। এর জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়েছে।”
পাশাপাশি কঙ্গনা আরো জানায় যে তিনি মোটেও গান্ধীবাদীতে বিশ্বাসী নন। তিনি সুভাষচন্দ্রবাদী। তার এই মন্তব্য নিয়ে কিছু মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রচুর মানুষ সমর্থনও করেছেন তাকে। অভিনেত্রীর কথায়, “নেতাজি আর সাভারকরজির লড়াই ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র একদিকটাই দেখানো হয়েছে। একগালে চড় খেয়ে আরেক গাল বাড়িয়ে দেওয়া বা ডান্ডি যাত্রা করে তো আর স্বাধীনতা আসেনি। লাখ লাখ মানুষের রক্ত দিয়ে এসেছে।”
এইদিন এই মহামানব সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘তিনি গোটা বিশ্বকে ভারতের দুর্দশা সম্পর্কে অবহিত করিয়েছিলেন। বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়ে, নিজের সেনাবাহিনী বানিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা যে কাউকে ক্ষমতা দান করলেও নেতাজি ক্ষমতা লোভী ছিলেন না, তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীনতা।’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও নেতাজীকে নিয়ে কঙ্গনা বলেছিলেন, “আমার স্বভাবটাই হিংস্র। মজা করছি না। কিছু মানুষ স্বভাবের দিক থেকেই হিংস্র হয়। আর এরা আইপিএস অফিসার বা সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। কিছু মানুষ আছে যারা এক গালে থাপ্পড় খেলে অন্য গাল বাড়িয়ে দেওয়ার আদর্শে বিশ্বাসী। আর কিছু মানুষ হয় যারা তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব, এই আদর্শে বিশ্বাস করে। আমরা রক্ত দেওয়ায় বিশ্বাসী। আমার আদর্শ ওরকম।”