কত জুটি এলো গেলো তবে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে কেউ টেক্কা দিতে পারলো কি? উত্তম (Uttam Kumar) সুচিত্রার (Suchitra Sen) পর একমাত্র এই জুটির মধ্যে সেই পুরো উন্মাদনা খুঁজে পেয়েছিল মানুষ। পর্দায় বহু তারকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। তবে প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee) আর ঋতুর (Rituparna Sengupta) আলাদাই উন্মাদনা।
উত্তম-সুচিত্রার জুটিটা এখন অনেকটা আলমারির তাকের কোনে সযত্নে তুলে রাখা বাক্সের মত। সময়ে অসময়ে সেটা বার করে স্মৃতিচারণায় মেতে ওঠা যায়। তবে প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার জুটি এখন খানিকটা রিইউনিয়ন যেন। ঘন ঘন আসেনা ঠিকই, তবে যখন আসে তখন সবাইকে মাতাল করে দেয়।
আর এবার সেই মাতলামিকে আরো একটু উসকে দিতে আসছে প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার ৫০ তম ছবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে প্রথমবার বাংলা বিনোদন জগতে আত্মপ্রকাশ করে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিৎ-র জুটি। ‘নাগপঞ্চমী’ ছবির হাত ধরে দর্শক পেয়েছিল এক নতুন জুটি। এরপর সমানতালে এই জুটি একসাথে অভিনয় চালিয়ে যান দীর্ঘ ৩ দশক।
এই তিন দশক রুপালি পর্দায় তো ছিলেনই, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ডিভিডি-ওয়েবেও প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি জনপ্রিয় পরের প্রজন্মের কাছেও। রোমান্টিকতায় ভরপুর এ জুটি বাঙালিকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে ভালোবাসতে হয়। কিন্তু এই জুটির মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে হাজারো ইতিহাস এবং ঘটনা।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে এসে যখন আমরা একে অপরের দিকে তাকাই, আপনা থেকেই হয়। আমরা আর অভিনয় করিনা। কোথাও ছবির ঐ চরিত্রগুলোই জীবন্ত হয়ে ওঠে। আমরা প্রতিবার নতুন করে দর্শকদের কাছে পৌঁছাই।’ আর এভাবেই তাদের আরো একবার পর্দায় নিয়ে আসছেন, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি।
ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘দৃষ্টিকোণ শুট করার সময় থেকেই এই ছবির কথা ভাবছি আমি। একটি জটিল সম্পর্কের সমীকরণ ধরা পড়বে এখানে। এখন কেবল এটা বলতে পারি কোনও সুখী দম্পতির গল্প দেখানো হবে না এখানে। এখন বলবেন কেন? মানুষ এখন জটিলতা দেখতে চায়, তারা সম্পর্কের বিভিন্ন দিক দেখতে চান। আমি এখন স্ক্রিপ্টের উপর কাজ করছি। সব ঠিক থাকলে মার্চ থেকে শ্যুটিং শুরু করব।’