টলিউড,বিনোদন,ধারাবাহিক,টেলিভিশন,খড়কুটো,গুনগুন,তৃণা সাহা,Tollywood,Entertainment,Serial,Telivision,Trina Saha,Kharkuto,Gungun

Moumita

জন্মদিনের দিনই মৃত্যু হল গুনগুনের! ‘খড়কুটো’র গল্প দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ অনুরাগীরা

পড়ন্ত টিআরপির কারণে বহু ধারাবাহিকই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। খারাপ টিআরপির কারণে এযাবৎ বহু ধারাবাহিকই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেও এমন বেশ কিছু ধারাবাহিক আছে যেগুলো টিআরপির অপেক্ষায় বসে থাকেনা। জনপ্রিয়তা এতোটাই বেশি যে, টিআরপি যেমনই হোক আজও একইরকম প্রিয় রয়েছে দর্রশকমহলে। এরকমই একটি ধারাবাহিক হলো ‘খড়কুটো’।

   

লীনা গাঙ্গুলীর লেখা এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রথম থেকেই বেশ তুঙ্গে। একটা সময় টিআরপি তালিকায় প্রথম দিকে জায়গা করে নিয়েছিলো ধারাবাহিকটি। দর্শকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকতো এই ধারাবাহিকের নাম। গুনগুনের সরলতা তার সাথে একান্নবর্তী পরিবারের ভালোবাসা। সবে মিলিয়ে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল ধারাবাহিকটি।

ধারাবাহিকের গল্পের সাথে সাথে মূখ্য চরিত্র গুনগুনও যেন মানুষের খুব কাছের হয়ে উঠেছিলো। প্রসঙ্গত, ‘খড়কুটো’ ছিলো তৃণা সাহা অভিনীত তৃতীয় সিরিয়াল। তবে এই ধারাবাহিকের সৌজন্যেই বিশেষ পরিচিতি পান তৃণা। বছর দুই আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে শুরু হয় ‘খড়কুটো’ পরিবারের সফর।

প্রথমদিন থেকেই দর্শকদের মন কেড়েছিল ধারাবাহিকের নায়িকা তৃণা। তার সরলতায় মুগ্ধ হয়েছিলো বাঙালি। তবে সবকিছুরই তো একটা শেষ থাকে, ব্যতিক্রম নয় এই ধারাবাহিকটিও। আজকের পর্বেই মৃত্যু দেখানো হয়েছে গুনগুনের। অর্থাৎ ধারাবাহিকের প্রানবিন্দু আর নেই।

আসলে লীনা গাঙ্গুলী যেভাবে গল্প সাজিয়েছেন তাতে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলো গুনগুন। গল্পের ধারাকে বাস্তবসম্মত রাখতে কোনো অবাস্তব ঘটনা দেখাতে চাননি নির্মাতারা। অসুস্থতার গম্ভীরতা অনুযায়ী, গুনগুনের মৃত্যু দেখানোই উচিত মনে করেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তবে হঠাৎ করেই নির্মাতাদের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে অনুরাগীরা। আসলে তারা কেউই চাননি এই ধারাবাহিকের শেষটা এরকম দুঃখভরা হোক।

এইভাবে শেষ হওয়ায় মন খারাপ অভিনেত্রী তৃণা সাহারও। এই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, গুনগুনের মৃত্যু আদৌ জরুরি ছিলো কি না তা সত্যিই জানা নেই তার। তবে ব্রেন টিউমারের মতো গুরুতর রোগ থেকে বেঁচে ফিরলেও প্রশ্ন উঠতো ধারাবাহিকের যৌক্তিকতা নিয়ে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সব কিছুরই একটা শেষ থাকে। সেটাই মেনে নিতে হয়।’ সেইসাথে তৃণা সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন ‘গুনগুন হয়ে যা ভালোবাসা পেয়েছি, তা ভুলব না। ‘খড়কুটো’ সারা জীবন আমার মনে একটি বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে। এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।’