নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) বিধ্বংসী বাহিনীর মধ্যে অন্যতম হল ব্ল্যাক কমান্ডো (Black Commando)। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ করে যে কোন জরুরী পরিস্থিতিতে এই বাহিনীর অবদান এক কথায় অনস্বীকার্য। ২৬/১১-র মুম্বাই জঙ্গি হামলার ঘটনা কিম্বা খাগড়াগড়েরবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অথবা অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেশখালিতে-ও পা পড়েছে এই এনএসজি কমান্ডোদের (NSG Commando)।
সাধারণত দেশের ভিআইপিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম তৈরি হয়েছিল এই ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (National Security Guard) বা এনএসজি (NSG)। এই বাহিনী তৈরি হয় মূলত জার্মানির বর্ডার গার্ড গ্রুপের আদলে। এই বাহিনী দুই ভাগে বিভক্ত। জানা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এনএসজি-তে মোট প্রায় ১৫ হাজার কমান্ডো রয়েছেন।
এদের পরনে সারাক্ষণ থাকে কালো রংয়ের পোশাক। তাই এঁদের ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ (Black Cat) বলে-ও অভিহিত করা হয়ে থাকে। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র চালানোর কাজে বিশেষভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন এঁরা। দেশবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানে সর্বদা এগিয়ে থাকেন এই কমান্ডো বাহিনী। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে এঁদের কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
তাই এই কমান্ডো বাহিনীর নিয়োগ কিভাবে হয় কিংবা এদের মাসিক বেতনই বা কত? তা জানার আগ্রহ থাকে কম বেশি সকলেরই।সূত্রের খবর এনএসজিতে যোগ দিতে গেলে অবশ্যই সেন্ট্রাল পুলিশ আর্মড ফোর্স বা ভারতীয় সেনায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেই কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয় কমান্ডোদের। যদিও এক্ষেত্রেও আবার তিনটি ভাগ রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই হয় প্রি-সিলেকশন ট্রেনিং, তারপর কোয়ালিফিকেশন ট্রেনিং, আর একেবারে শেষে হয় ফাইনাল অ্যাডভান্সড ট্রেনিং।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ধনী জেলার নাম জানেন? কত নম্বরে কলকাতা?
প্রসঙ্গত এই প্রি-সিলেকশন ট্রেনিংয়ের প্রশিক্ষণ চলে ৩ মাস ধরে। তারপর কোয়ালিফিকেশন ট্রেনিং পিরিয়ড হয় ৯ মাসের, আর সবশেষে আরও ৯ মাসের ট্রেনিংয়ের পর গিয়ে হয় ফাইনাল সিলেকশন।জানা যায় এই এনএসজি কমান্ডোদের বার্ষিক বেতন ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। আর প্রতি মাসে তাঁদের বেতন প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেশি। তবে এই বেতন অনেক সময় তাঁদের র্যাঙ্কের উপরেও নির্ভর করে।
তবে এই কমান্ডোদের মধ্যে সবথেকে বেশি বেতন পান ডাইরেক্টর জেনারেল। তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে থাকেন ইন্সপেক্টর জেনারেল। আর বেতনের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর, গ্রুপ কমান্ডার, স্কোয়াড্রন কামান্ডার ও টিম কমান্ডার। আর এই টিম কমান্ডারদের পর আসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার।এঁদের আবার তিনটি ভাগ থাকে। প্রথমে গ্রেড ১, তারপরে গ্রেড ২। তারপরেই রয়েছেন কোম্বাটাইসড ট্রেডসম্যান। তাঁরা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পান।