শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের দাপট। আর তার সাথে চলে এসেছে বিয়ে এবং পিকনিকের মরশুমে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস মানেই একদিকে পিকনিকের ধুপ অপরদিকে বিয়ের ঝড়। আর বিয়ে মানেই তো মধুচন্দ্রিমা নিয়ে আলাদাই উন্মাদনা বিবাহিতদের মনে। এমতাবস্থায় যদি কেউ তিন চারদিনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার জায়াগার সন্ধান করছেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনাদের জন্যই।
১) তাজপুর : দীঘা কিংবা মন্দারমনি তো অনেক হল, এবার বরং চলুন তাজপুর থেকে ঘুরে আসা যাক। লাক্সারী হোটেল থেকে শুরু করে কম দামী হোটেল সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা হোক কি বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ু বেড়ু, যেকোনো কাজের জন্যেই দূর্দান্ত জায়গা এটি। দীঘা থেকে তাজপুরের দূরত্ব খুব বেশি দূর নয়। বাস কিংবা গাড়িতে বম্বে রোড হয়ে টানা তাজপুর যেতে লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা।
২) লেপচাজগত : নর্থ বেঙ্গল বলতে সবাই দার্জিলিং বুঝি। তবে লেপচাজগত নামে একটা ছোট্ট গ্রাম আছে যার খোঁজ হয়ত অনেকেই জানেননা। ঘন পাইন গাছের মাঝে হোম স্টে-তে কয়েকটা দিন বেশ আরামেই কাটবে। হাওড়া কিংবা শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে মাত্র ১৯ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত এই গ্রাম।
৩) চিলাপাতা : নতুন জীবন নতুন অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে শুরু করতে চান? তাহলে চলে যান চিলাপাতা। হাওড়া থেকে ট্রেনে মালবাজার স্টেশনে নেমে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই চিলাপাতা। গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন। হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল দেখার আলাদাই অভিজ্ঞতা হবে।
৪) মুরুগুমা : এমনিতেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পুরুলিয়া। মুরগুমা ড্যাম এরমধ্যে অন্যতম। তবে পুরুলিয়া গেলে অযোধ্যা পাহাড় তো দেখতেই হবে। এমতাবস্থায় একরাত অযোধ্যায় কাটিয়ে পরদিন পৌঁছে যান মুরুগুমায়। আদিবাসী গ্রাম, আদিবাসী নাচ, মাদলের তালে তালে ভালোই কাটবে কয়েকটা দিন। হাওড়া থেকে ট্রেনে সোজা পৌঁছে যান পুরুলিয়া। সেখান থেকে মুরুগুমা মাত্র ১ ঘন্টার দূরত্ব।
৫) রায়চক : কলকাতা থেকে মাত্র ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়চক। এসপ্ল্যানেড থেকে বাস ধরে সোজা পৌঁছে যাবেন রায়চকে। হাতে সময় একদম কম থাকলে এই জায়গা অবশ্যই বেস্ট চয়েস। রায়চক ফোর্ট, ডায়মন্ড হার্বার লাইট হাউস, চিংড়িখালি ফোর্ট এবং জয়নগরের মতো বেশকিছু বিখ্যাত জায়গা পরিদর্শন করে আসতে পারেন।