অনিল আগরওয়াল,Anil Agarwal,বেদান্ত,Vendatu,সানডে টাইমস,Sunday Times,ডোনেশন,Donation

Moumita

মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাবার জোগাড় করতেন, সেই ছেলেই এখন বড় ব্যবসায়ী, দেশের জন্য দান করেছেন ১৫০ কোটি টাকা!

আজ আমরা বিহারের এমন একজন ব্যক্তির কথা বলতে চলেছি বর্তমানে যার আলাদা করে কোনও পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অভাবনীয় ভাবে তিনি নিজের ভাগ্য লিখছেন নিজেরই হাতে, আর আজ তৈরি করেছেন নিজের এক সুবিশাল সাম্রাজ্য। জেনে অবাক হবেন তার জীবনেই এমন একটা সময় ছিল, যখন তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে, সেই উপার্জনে তার চার সন্তানের খাবার জোগাড় করতেন। সেই তিনিই, করোনা নামক মহামারীতে দেশ ছেয়ে গেল তিনি পুরো দেশকে দান করেছেন বিপুল অংকের ১৫০ কোটি টাকা।

   

আজ আমরা বেদান্ত গ্রুপের মালিক অনিল আগরওয়ালের কথা বলছি, যিনি আজ দেশের একজন বড় ব্যবসায়ী। বিহারের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি এবং মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পাটনা থেকে মুম্বাই চলে আসেন। মুম্বাইতে এসে একটি ছোট দোকান দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বেদান্ত গ্রুপের মালিক। সম্প্রতি ব্রিটেনের বিখ্যাত নিউজপেপার সানডে টাইমস (Sunday Times) ২০২২ এর জন্য ব্রিটেনে সবচেয়ে ধনী লোকের লিস্ট তৈরি করেছে। জেনে অবাক হবেন যে, সেই তালিকায় প্রায় ৮৯১.১৯ আরব টাকা সম্পত্তি নিয়ে ১৬ নম্বর স্থানে রয়েছেন অনিল আগরওয়াল।

আজ এত বড় জায়গায় উঠে গিয়েও তিনি তার মায়ের সংগ্রাম ভোলেননি। তিনি মাঝমোধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করে নেন সেই কথা। নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি তার মা’কে দিয়ে থাকেন। তিনি এও বলেন যে, “শত কষ্টের মাঝেও আমার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করেছেন আমার মা। কখনও কোনও অভাব হতে দেননি তিনি। এই রকম একজন মা পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি এবং যখনই আমি হতাশ হই, তখন আমার মায়ের সংগ্রামী জীবন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।”

এরকমই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনিল আগরওয়াল জানান, “প্রথম দিকে আমি মুম্বাইয়ের মেটাল মার্কেট ভোইওয়াড়াতে একটি ছোট রুম ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন মেটাল স্ক্র্যাপের কাজ শুরু করেছিলাম এবং মাঝে মাঝেই এই কাজে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু আমার সংগ্রামের জীবনে হতাশা আসলেই আমি আমার মায়ের কথা মনে করতাম আর তাহলেই সব ঠিক হয়ে যেত।” প্রসঙ্গত আজ অনিল আগরওয়ালের বেদান্ত গ্রুপের মূল্য হয়েছে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

বর্তমানে কোটি কোটি সম্পদের মালিক অনিল আগরওয়াল হয়তো আজ একজন উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী, কিন্তু প্রথম দিকে তাঁর জীবন ছিল সংগ্রামের। তিনি জন্মেছিলেন এক মধ্যবিত্ত পরিবারে, যার কারণে তিনি শিখেছেন কীভাবে ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেও খুশি খুঁজে নিতে হয়, তাই আজ তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েও নিজের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করেছেন। এছাড়াও করোনার মত মহামারীর সময়ে, অনিল আগরওয়ালের বেদান্ত গ্রুপ প্রায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি দান করেছে দেশের কাজে।