রুদ্র সাহা,ফ্যাশন,শাড়ি,আতিফ খান,ভাইরাল ফোটো,সোশ্যাল মিডিয়া,Atif Khan,Social Media,Saree,Rudra Saha,Fashion,Viral Photo

Moumita

‘মেয়েরা যদি ধুতি পরে ছেলেরা শাড়ি নয় কেন?’ বেনারসি দিয়ে ধুতি পরে ছবি পোস্ট পোশাক ডিজাইনারের

সমাজে নারী-পুরুষের জায়গা কোথায়? কে বেশি উচ্চতায় বাস করে নাকি দুজনেরই সমান অধিকার? এই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। অনেকেই মনে করেন, নারী এবং পুরুষ কোনোদিন এক হতে পারে না। তাদের মধ্যে রয়েছে কিছু পার্থক্য। তবে নারী ও পুরুষের মাঝে সামান্য কিছু পার্থক্য মূলত কোনো বিভাজন নয়, বরং সৃষ্টির পূর্ণতা ও উৎকর্ষতার জন্যই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই দুজনকে।

   

এমতাবস্থায় প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী শারীরিকভাবে মেয়েরা পুরুষের সমকক্ষ নয়। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে। সমাজের একাংশের দাবি, যেগুলোতে নারী এগিয়ে সেইসব জায়গায় তাদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হোক। তবে এরই মধ্যে কিছু মানুষের আবার দাবি যে, জামাকাপড়েও কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়। যদিও এই নিয়ে রয়েছে বিস্তর মতভেদ।

পোষাক হলো অঙ্গ ঢেকে রাখার একটা বস্তু। তাই এই বস্তুর কোনো মাপকাঠি থাকা উচিত নয়, এমনটাই মনে করেন নিজেদেরকে এলিট বলে দাবী করা মানুষরা। যেমন কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ধুতি পাঞ্জাবিতে। কিছু মানুষ এই নিয়ে কটাক্ষ করলেও কিছুজন আবার তার সমর্থনে এগিয়েও এসেছিলো। এখন এই বিষয়কে যদি এলিট সমাজ ফ্যাশনের তকমা দিতে পারে তবে পুরুষের শাড়ি ব্যবহার কে কেন নয়?

 

আসলে দিনকয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মডেলের ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক পুরুষ মডেল একটি লাল বেনারসি শাড়িকে ধুতির মতো করে পরেছেন। এবং তার শরীরের উর্ধাঙ্গ সম্পূর্ণ উলঙ্গ। সাথে পায়ে পরেছেন আলতা। এখন এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বাহবা দিলেও নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ‘এইসব পাবলিসিটি স্টান্ট এবং এলিটিজমের নামে আঁতলামি’।

সূত্রের খবর, এই ভাইরাল মডেলের নাম আতিফ খান। ছবিটি পোস্ট করেন ফ্যাশন ডিজাইনার রুদ্র সাহা। তিনিই ছবিটি প্রথমে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন। বলা বাহুল্য এই ফটোশুটের বিষয়টি পোশাক শিল্পী রুদ্র সাহারই মস্তিষ্কপ্রসূত। এখানে রুদ্রর স্টাইলিস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন পৌলোমী সাহা। হেয়ার স্টাইল করেছেন রোহিনী আইচ। এবং মেকাপ করেছেন, রাখি আগারওয়াল সুমন এবং শাদ্বিকা দেব শর্মা।

ফ্যাশন ডিজাইনার রুদ্রর কথায়, “আমরা চেয়েছিলাম এমন কোনও সাজ তৈরি করতে, যা পুজোর আগে মানুষের মননে লেগে থাকবে। আশা করি সেটা পেরেছি।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে শাড়ি নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরিক্ষা চললেও এই সাজকে সমাজ কতটা মেনে নেবে তা বলা মুশকিল। কারণ সত্যি কথা বলতে, শাড়ি আজও ভারতীয়দের কাছে একটা আবেগ। আর এইসব এক্সপেরিমেন্টের ফলে কোথাও গিয়ে ‘শাড়িতেই নারী’ কথাটার অভিজাত্য ক্ষুন্ন হচ্ছে যেন– এমনটাই মত নেটিজেনদের।