বাঙালির জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে বাংলার মেগা সিরিয়াল। ধারাবাহিকের চরিত্র যেন মিশে গেছে মানুষের বাস্তব জীবনের সঙ্গে। রোজকার ব্যস্ত জীবনে একটু আনন্দ খুঁজে নিতে বিনোদনের খোঁজে আট থেকে আশি সবাই বসে পড়ে টিভির সামনে। এমতাবস্থায় মানুষকে বিনোদন জোগাতে টেলিভিশনের পর্দায় আসে নানান ধরনের শো। তারমধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে বাংলার ধারাবাহিক গুলি। এমনই সমস্ত জনপ্রিয় চিত্রনাট্যের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সম্প্রতি তার তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে নেটপাড়া।
বাংলা টেলিভিশনের এক অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার হলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের কলমের জোরে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন তেমনই তাকে নিয়ে হয়েছে বিস্তর সমালোচনাও। সম্প্রতি সেরা লেখিকা হিসাবে ‘সেরা বঙ্গনারী’র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আর কার্যত তারপর থেকেই সোরগোল পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা থেকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে বিনোদন জগতের গন্যমান্য সব ব্যক্তিত্বদের। সেখানেই সেরা লেখিকা হিসেবে ‘সেরা বঙ্গনারী’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাকে। হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। আর সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেটনাগরিকদের একাংশ।
নেটিজেনদের দাবি, ““লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ধারাবাহিকে সবসময় কুটকাচালি, পরকীয়া, দু-তিনটে বিয়ে দেখানো হয়। সেক্ষেত্রে তিনি বঙ্গ নারীর সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন”। আবার অনেকেই বক্তব্য রেখেছেন, “লেখিকাকে সুস্থ গল্প লেখার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা করেন না”।
প্রসঙ্গত, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। একজন এতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকে এইধরনের চিত্রনাট্য কখোনই কাম্য নয় বলেই দাবি মানুষের। ‘এইসব চিত্রনাট্য লিখে মহিলাদের অসম্মান করার মানে কী?’ এ প্রশ্নও তুলেছে অনেকে। কূটকচালি, অশান্তি আর পরকীয়ার গল্প লিখে কেউ কীভাবে ‘সেরা বঙ্গনারী’র পুরষ্কার পেতে পারে, ক্ষোভ নেটিজেনদের।