পঞ্চায়েত সিজন ২ নিয়ে এই উত্তাল হয়ে উঠেছে নেটপাড়া। মুখ্য চরিত্রেই নয়, পার্শ্ব চরিত্রে থেকেও যে দর্শকদের মন জিতে নেওয়া যায়, তা নতুন করে প্রমাণ করছে ‘পঞ্চায়েত ২’। সিরিজের প্রতিটি চরিত্রের নিখুঁত অভিনয় দেখে মুগ্ধ দেশবাসী। আর তাই প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই মানুষের মধ্যে। অভিষেক স্যার অর্থাৎ জিতেন্দ্র কুমার থেকে প্রধান জী মেয়ে রিঙ্কি সকলকে নিয়েই উন্মাদনা রয়েছে দর্শকমহলে। কিন্তু, অভিষেকের ছায়া সঙ্গী বিকাশের বাস্তব পরিচয় কী,তা কি জানেন? আজ এই প্রতিবেদনে জানাবো ‘সচিবজী’র সর্বক্ষণের সঙ্গী বিকাশ কে, এবং তার জীবন সংগ্রামের কাহিনী।
সিরিজে তিনি বিকাশ নামে জনপ্রিয়তা পেলেও তার আসল নাম চন্দন রায়। বিহারের বৈশালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ‘সচিবজী’র এই ছায়াসঙ্গী। অভিনেতা হওয়ার প্রবল টানে বাড়ি ছাড়েন তিনি। বিহার থেকে সোজা মুম্বইয়ের রাস্তা ধরেন পরিবারের অমতেই। ‘বিহার-মুম্বাই’ কথাটা শুনতে ততটা সহজ রাস্তাটা ছিলো তার থেকেও বেশি কঠিন।
প্রথমে তিনি পৌঁছান দিল্লিতে, সেখানে প্রায় বছর দুই রিপোর্টারের চাকরি করেন তিনি। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে পাড়ি জমান “দ্য সিটি অফ ড্রিমস” মুম্বই এর দিকে। এরপর তিনি একটি রিয়েলিটি শো তে ডাক পেয়ে যান। সেখানে অংশগ্রহন করেন তিনি। তার সাথে কথা হয়েছিল ২৫০০ টাকা দেবে তারা। কিন্তু শো শেষ হওয়ার পর মাত্র ২১৫ টাকা দেয় ওই শো এর পরিচালকরা। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অভিনেতা বলেন যে, “ সেই দিন খুব কেঁদেছিলাম, কিন্তু আমার শুরুটা হয়েছিল ঠিক সেদিন থেকেই।”
প্রচুর পরিশ্রম করলেও সাফল্য মিলছিল না, কিন্তু পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজের বিকাশের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি এখন বেশ বিখ্যাত। তবে এই চরিত্র সম্পর্কে বিকাশ বলেন যে, আমি যখন এই চরিত্রটা করার অফার পাই এটা ভেবে নিয়েছিলাম আমি অভিনয় করব না। বিকাশের হয়ে ফুটিয়ে তুলবে যাতে চরিত্রটা অনেক বেশি ন্যাচরাল মনে হয়।”
ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের সিজন ২ ঘিরে বেশ হইচই পড়েছে। বস্তুত বহুদিন ধরে অপেক্ষা করার পর মুক্তি পাওয়ায় এই সিরিজ নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা চরমে। এটিই বোধ হয় ভারতের একমাত্র সিরিজ যেখানে প্রায় সবকটি চরিত্রই মানুষের বেশ পছন্দ হয়েছে। পঞ্চায়েত সিজনটি মূলত অভিষেক ত্রিপাঠী চরিত্রটিকে কেন্দ্র করে। গল্পের নায়ক অভিষেক ত্রিপাঠী শহুরে ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরির ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে রেজাল্টের কারণে। অবশেষে যে চাকরি পান তাকেই একরকম আঁকড়ে ধরেন। কিন্তু বাধ সাধলো তার কর্মস্থল। মোটেও মনোমত নয় তার। এরপরই শুরু হয় নানান সমস্যা। এভাবেই এগিয়ে গিয়েছে গল্প। সহজ সাধারণ গ্রাম্য জীবনের ওপর তৈরি এই ওয়েব সিরিজ এখন সারা OTT প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সর্বসেরার অ্যাখ্যা পেয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে।