দেশলাই কাঠিতে বিরাট চমক, ১ মাসেই তড়তড়িয়ে বেড়ে উঠবে আপনার বাগানের ফুলগাছ

নিউজশর্ট ডেস্কঃ গাছপালার গুরুত্ব আমাদের জীবনে(Lifestyle) কতটা, তা আর নতুন করে বলবার প্রয়োজন পড়ে না। অক্সিজেন থেকে বৃষ্টিপাত, পরিবেশ দূষণ রোধ থেকে চাষবাস(Farming) সবেতেই গাছপালার অবদান অনস্বীকার্য। সেই কারনে অনেকেই এখন নিজের বাড়ির চারপাশে লাগান গাছপালা। কিন্তু বর্তমান ফ্ল্যাট সংস্কৃতিতে বাগান করার জায়গা(Gardening) পাওয়া একটা সমস্যার বিষয়। সেই কারনেই অনেকে বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদকেই বেছে নেন গাছ লাগানোর ক্ষেত্র হিসেবে, সেই মতনই তারা গাছ লাগান টবে।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার মুখে পড়ে তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কদিনের মধ্যেই গাছটি মরে যাচ্ছে।,গাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সেই কারনেই অনেকে নিরাশ হয়ে আর গাছ লাগান না। তবে এবারে আর হবে না সমস্যা। কারন আজ আপনাকে এমন এক পদ্ধতির কথা জানাবো যেটি প্রয়োগ করলে আর কোনওদিন মরবে না গাছ, চিরকাল থাকবে সতেজ। আসুন জেনে নিই সেই পদ্ধতি।

এর জন্যে প্রথমেই আপনার লাগবে দেশলাইর কাঠি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন! এই দেশলাইয়ের কাঠিই সতেজ রাখবে আপনার গাছকে। কিন্তু কিভাবে ? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে দেশলাই কাঠি তৈরির উপাদানের মধ্যেই। মূলত দেশলাই কাঠির মশলা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফসফরাস, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্লোরোফিল। আর এই উপাদানগুলোই গাছের পরিচর্যায় নেয় বিরাট ভূমিকা। প্রথমত, এর মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলি ব্যবহৃত হয় কীটনাশক হিসেবে। এরা গাছকে রক্ষা করে সমস্ত রকম কীট-পতঙ্গের হাত থেকে। পাশাপাশি ফসফরাস গাছের শিকড় মজবুত করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত থাকা সালফার এবং ম্যাগনেসিয়াম সাহায্য করে গাছের ক্লোরোফিল বৃদ্ধিতে। যার ফলে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াও সুষ্ঠুভাবে চলে গাছের।

তবে এটির একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, আসুন জেনে নিই সেই পদ্ধতি। প্রথমেই টবের মাটি ভেজাতে হবে আপনাকে। এরপর কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে, দশটা দেশলাই কাঠির বারুদের দিক গুঁজে দিতে হবে মাটিতে। প্রতিটি কাঠি যেন নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকে সেটি অবশ্যই দেখবেন। ভুলেও দশটির বেশি কাঠি ব্যবহার করবেন না। এরপর ১৫ দিন অন্তর অন্তর এই কাঠি বদলাতে হবে। মনে রাখবেন, এই সময় ভুলেও বাইরের কোনো সার দেবেন না এই টবে। এভাবে টানা ১ মাস এই পদ্ধতি পালন করলেই মিলবে সুফল।

Papiya Paul

X