ইচ্ছে থাকলে যেকোনো কাজে সফলতা পাওয়া যায় তবে এর জন্য প্রয়োজন নিজের অদম্য ইচ্ছে, ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের। এই কথা বলার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল গুজরাটের সুরাতে বসবাসকারী এক কৃষকের মেয়ে মৈত্রী পাটেল। তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাইলট হয়েছেন। আর এর ফলে তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বকনিষ্ঠ বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রচুর ইচ্ছে ছিল তার। এমনকি ছোট থেকেই পাইলট হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বাবা একজন কৃষক হওয়ায় সেভাবে টাকা পয়সা না থাকায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তাকে পড়ান। যদিও প্রথমে ব্যাংক থেকে থাকে লোন দেয়নি। এইজন্যই তার বাবাকে নিজের কৃষি জমি বিক্রি করে পয়সা জোগাড় করতে হয়েছে।
মৈত্রীকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে সুদূর মার্কিন মুলুকে যেতে হয়েছে। সেখানে মেটাস অ্যাডভেন্টাস্ট স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করে পাইলটের প্রশিক্ষণ নিতে চান। একজন পাইলট হতে গেলে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং শেষ করতে সময় লাগে ১৮ মাস। কিন্তু মৈত্রী এই কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন মাত্র ১২ মাসে।
এর পরেই তিনি বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স হাতে পেয়ে যান। মাত্র আট বছর বয়স থেকে পাইলট হওয়ার চেয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন মৈত্রী ১৯ বছর বয়সেই সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। মৈত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর তিনি তার বাবাকে ফোন করে আমেরিকা আসতে বলেন। এরপর তাকে নিয়ে ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় উড়ে যান। এটা তার কাছে একটা স্বপ্নের মুহূর্তের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ছিল। প্রসঙ্গত, আমেরিকাতে প্রশিক্ষণ শেষ করলেও ভারতের প্লেন চালাতে তাকে এখানেও কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হবে।