টলিউড,বিনোদন,মহানায়ক,মহানায়িকা,মানসী সিনহা,সাক্ষাৎকার,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,Tollywood,Entertainment,Gossip,Mahanayak,Mahanayika,Mamata Banerjee,Mansi Sinha

Moumita

রাজনীতি নয় স্বার্থনীতি, এত যোগ্য মানুষ থাকতে সোহম-নুসরত মহানায়ক সম্মান পায় কী করে! বিস্ফোরক মন্তব্য মানসী সিনহার

বাংলায় এখন ধুন্ধুমার কান্ড। একদিকে প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর SSC দূর্নীতি কান্ড অপর দিকে মহানায়ক, মহানায়িকার মুকুট পরানো হয়েছে যথাক্রমে সোহম এবং নুসরতের মাথায়। কার্যত এর পরেই ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। সোহম এবং নুসরত কীভাবে মহানায়ক, মহানায়িকার সম্মাননা পেতে পারে এই নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে রাজ্যবাসী। আর সম্প্রতি এই নিয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা।

   

এইমুহুর্তে গোটা বাংলার মানুষের একটাই মত যে, সমস্ত অযোগ্য ব্যক্তিরাই রাজ্যের বড়ো বড়ো পদগুলি দখল করে রয়েছে। এমতাবস্থায় মানসীর বক্তব্য যেন সেই আগুনে আরো একটু ঘি ঢেলেছে। তিনি জানান যে, তিনি বেশ বুঝতে পারছেন কীভাবে এই দুই ব্যক্তিত্ব এতো বড়ো সম্মাননা পেলেন। তারমতে বাংলায় এখন আর রাজনীতির কোনো জায়গা নেই, বদলে শুরু হয়েছে স্বার্থনীতি। নাহলে এতো ভালো ভালো শিল্পীদের বাদ দিয়ে ঐ পুরস্কার সোহম নুসরতের হাতে কীভাবে উঠতে পারে?

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বঙ্গ সম্মানের আয়োজন করা হয়েছিলো। আর সেখানেই মহানায়ক এবং মহানায়িকার মতো বড়ো পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সোহম আর নুসরতের হাতে। সোহম নাকি ছোটোবেলা থেকেই অভিনয়ের সাথে যুক্ত রয়েছে সেই কারণে তিনি হলেন জাত অভিনেতা। এমনও অভিমত প্রকাশ করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এখান থেকেই হয় এই বিতর্কের সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং সোহম, নুসরতের এহেন সম্মান পাওয়ার বিরুদ্ধে মুখর হয়ে ওঠে গোটা টলি ইন্ডাস্ট্রি তথা রাজ্য। সম্প্রতি মানসী সিনহা এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে গোটা বিতর্ককে আরো একটু চাঙ্গা করে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এক মিডিয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টই জানান যে, ঐ মঞ্চকে আর পুরস্কারের মঞ্চ বলে মনে করেননা তিনি।

মানসীর কথায়, তিনি যথেষ্ট স্নেহ করেন এই দুই শিল্পীকে। তাদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছেন না তিনি। তবে বাংলাতে তাদের চেয়েও গুণী অভিনেতা রয়েছে, সেইসব মানুষকে বাদ দিয়ে তারা কীভাবে পেতে পারে এইরকম একটা বড়ো পুরস্কার। মানসীর কথা অনুযায়ী, এ থেকেই ঐ মঞ্চের উদ্দেশ্য পরিস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। তার কথায় বাংলার রাজনীতি এখন স্বার্থনীতিতে পরিনত হয়েছে।

তবে এই বক্তব‌্য শুধু মানসীর নয়, এই বক্তব্য গোটা রাজ্যের। সমস্ত রাজ্যবাসীর মনের কথাটাই যেন তুলে ধরেছেন তিনি। অনেকেই দাবি করেছেন সোহমের থেকে জিৎ অনেক বেশি যোগ্য অভিনেতা। এছাড়াও যিশু, শ্বাশত, আবিরের নামও নিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই আবার কটাক্ষ শানিয়ে বলেছেন তারা বোধহয় এই কারণেই বাদ গেছেন কারণ তারা রাজনীতির নোংরা খেলা থেকে দূরে রেখেছেন নিজেদেরকে।