টলি পাড়ার অন্যতম সুন্দরী এবং অভিজ্ঞ অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। বাংলা, ওড়িয়া, তেলেগু সহ একাধিক ভাষায় কাজ করেছেন তিনি। এমনকি বর্তমানে টেলিভিশনে সঞ্চালিকা হিসেবেও তার ধারেকাছে ঘেঁষার মতো খুব কম জন আছে টলিউডে। তার রিয়েলিটি শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ দেখেনা এমন বাঙালি খুব কমই আছে।
তবে অনেকেই হয়তো একথা জানেননা যে, অভিনয় জগতে আসার আগে অভিনেত্রীর নাম ছিল ঝুমঝুম ব্যানার্জি। এরপর যখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তখন পরিচালক সুখেন বন্দ্যোপাধ্যায় তার নাম পালটে রাখেন রচনা ব্যানার্জি। এখন দর্শকমহলে এই নামেই বিশেষ পরিচিত তিনি।
প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর যথেষ্ট খেটেখুটেই নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি। একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করে সেই যে দর্রশকদের মন জিতেছেন তা আজও অব্যাহত। তবে মাঝে বেশ কিছুটা সময় একেবারেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অনেকেরই সেইসময় প্রশ্ন ছিল যে, হঠাৎ করে কোথায় গেলেন তিনি?
জানিয়ে রাখি সেই সময় বিয়ে করেছিলেন তিনি। এরপর সন্তান জন্মানো অবদি ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে বেশ দূরেই সরিয়ে রেখেছিলেন রচনা। পরিবার আর সন্তানের কেরিয়ারের কথা ভুলে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও ভাগ্যের ফেরে তার বিয়ে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। নানা উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে তার জীবন।
তবে এরপরই দর্শকদের ভালোবাসা আর অনুরোধের জেরে আবারও ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরতেই হয় তাকে। তবে এবার আর অভিনেত্রী নয় বরং ফেরেন জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং ওয়ান’ এর সঞ্চালিকা হয়ে। তবে এই শো থেকে তিনি যে ভালোবাসা আর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ততটা হয়তো সিনেমা থেকেও পাননি।
বছর কয়েক আগেই শ্বাশত চট্ট্যোপাধ্যায়ের অপুর সংসার শো’তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই শ্বাশত তাকে জিজ্ঞেস করে যে, কী করলে রচনা একজন সুগৃহিণী-তে হতে পারতেন? উত্তরে রচনা জবাব দেন, “কম্প্রোমাইজ করতে পারলে হয়তো ভালো স্ত্রী হতে পারতাম। তবে তা হয়নি। তার মতে অভিনয় পেশা অন্য পেশা থেকে আলদা। অনেক অ্যাডজাস্ট করতে হয়। যারা অভিনয় করেন তাদের অভিনয় জগতের মানুষের সঙ্গে বিয়ে করা উচিত। অথবা এই পেশাকে বুঝবেন এমন মানুষকে বিয়ে করা উচিত”।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, “আমার মনে হয় না সংসার করার জন্য বা বউ হওয়ার জন্য যে গুণগুলো থাকা দরকার তা আমার আছে। তাই স্ত্রী হিসাবে নিজেকে শূন্য দিতে চাই”।