Mithun Chakraborty

Moumita

টলিউড-বলিউডের সুপারস্টার মিঠুন, তবুও এই বিশেষ কারণের জন্য একাকিত্ব গ্রাস করেছিল ‘মহাগুরু’কে!

টলি(Tollywood) দুনিয়ার অন্যতম চেনা এবং চর্চিত নাম হল মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)। আজ ৭২ বছর বয়সেও তিনি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা অনেক উঠতি নায়কের কাছে বেশ ঈর্ষণীয়। তার স্টারডমের(Stardom) কাছে পাত্তা পাবেন কেও। আর একটা সময় এমন ছিল যে, দেশের বাইরেও তার ছবির শুটিং দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমাতেন।

   

মিঠুন তার স্বপ্নের এই অভিনয় জীবন শুরু করেন লেজেন্ডারি পরিচালক মৃণাল সেনের সাথে। মৃগয়া ছবির হাত ধরে শুরু হয় পথচলা। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় ব্রেক ৬ বছর পর ১৯৮২ সালে। নতুন পরিচিতি এনে দেয় ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিটি। মিঠুনের অভিনয় এমন জনপ্রিয় হয় যে, তার নামই হয়ে যায় ডিস্কো ডান্সার।

ভারত তো বটেই, তার পাশপাশি রাশিয়াতেও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন মিঠুন। একবার তো এমন হয় যে, কাজাখস্তানে বিমানবন্দরেই তাকে দেখার জন্য ভিড় জমান অনুরাগীরা। একেবারে ১০ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়ে যান তাকে দেখতে! এই ঘটনা বোধ হয় আর কোনো তারকার সাথে হয়নি। সেখানে থেকেই আপনারা মিঠুনের জনপ্রিয়তার কথা আন্দাজ করতে পারেন।

তবে অদ্ভুত ব্যাপার হল, এসবের মধ্যেই একাকীত্ব ঘিরে ধরে তাকে। মহাগুরু বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি যে এত বড় তারকা হতে পারব। কিন্তু আমার জনপ্রিয়তা যত বৃদ্ধি পেয়েছে, আমি তত একা হয়ে পড়েছি।’’ এখানে বলে রাখা দরকার, সেই সময় একসাথে ৪ থেকে ৫টি ছবির শুটিং করছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সকলে মনে করতেন যে আমি ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমার সঙ্গে কেউ সহজে কথা বলা যায় না।’’

সাধারণের সাথে তারকার যে দূরত্ব সেটার কারণেই নাকি মানুষ তার সান্নিধ্যে আসতে ভয় পেতেন। অনেকে ভাবতেন জনপ্রিয় হওয়ার পর তিনি যেন এক অন্য জগতের মানুষ। মিঠুন বলেন, ‘‘সকলে বলাবলি করতেন যে, আমি অনেক বড় হয়ে গিয়েছি। আমার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে শুটিংয়ে যেতাম। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আবার একা হয়ে পড়তাম। এই ছিল আমার রোজকার জীবন।’’

মিঠুনের, ‘‘দক্ষতা ছাড়া অভিনয় করা যায় না। দক্ষতা থাকলে পৃথিবীর কারও আটকানোর ক্ষমতা নেই। এক জন দক্ষ অভিনেতা যদি ভাল মানুষ না হন, তা হলে ইন্ডাস্ট্রিতে তার আয়ু অল্প।’’ অর্থাৎ, একজন মানুষ যাই করুন না কেন, সবার আগে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠা খুব প্রয়োজন।