এসেই বাজিমাত করেছে স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক (Bengali Serial) ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। দূর্দান্ত এগোচ্ছে সিরিয়ালটি। নেটিজেনদের মতে, গল্পের গতি একটু স্লো হলেও প্লট কিন্তু দূর্দান্ত। ব্যবসায়িক সমস্যা কীভাবে পারিবারিক সমস্যা হয়ে যেতে পারে সেটাই দেখানো হচ্ছে এই সিরিয়ালে।
যারা নিয়মিত ধারাবাহিকটি দেখছেন তারা তো জানেনই যে, একটা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ডোডো। তার কন্সট্রাকশন সাইটে ঝামেলা পাকিয়েছে ভাই-ভাই ক্লাবের সদস্যরা। আর সেই ঝামেলা এতদূর গড়িয়েছে যে, দুজন শ্রমিকের প্রাণ এখন সংকটে।
আর এই সমস্যা থেকে বাঁচার একটাই উপায় হল, দু’কোটি টাকা। ভাই-ভাই ক্লাবের দাবি, দু কোটি টাকা দিলে তবেই ঐ শ্রমিকদের ট্রিটমেন্ট শুরু করতে দেবে তারা। এমতাবস্থায় সবার যখন টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা তখন এক উপায় বের করেছে পূর্ণিমা।
সে দেবতনু অর্থাৎ মৌয়ের মশাইকে বলে বাড়ির একতলাটার বদলে ২ কোটি টাকা দিতে। যদিও দেবতনুর ধান্ধা ছিল পুরো বাড়িটাই হাতিয়ে নেওয়ার। তবে আম্মা সেটা হতে দেয়না। বদলে দেবতনু শর্ত রাখে যে, ডোডোর সাথে মৌয়ের বিয়ে দিতে হবে। আম্মাও শর্ত দেয় যে, এতে বাড়িটা মৌয়ের নামে করতে হবে।
আপাতত এই শর্তে রাজি হয় আম্মা এবং দেবতনু। এদিকে ডোডো-ও রাজি হয়ে যায় এতে। তবে বেঁকে বসে বীথি এবং মৌ। বীথি তো মনের ঝাল মেটানোর জন্য সুস্মিতাকে বলেই বসে যে, মৌয়ের নাকি ডোডোর উপর নজর ছিল। আর তাই ফন্দি করে এই বিয়ে করছে।
তবে এবার সুস্মিতা রুখে দাঁড়ায়। জানায় তার বোনঝি আর যাই করুক না কেন, নিজের জীবন নিয়ে খেলবে না। সে ভালো করেই জানে যে, বীথির তার জীবন নরক করে দেবে। এদিকে আম্মার কথা শুনে মৌ-ও রাজি হয়ে যায় এই বিয়েতে। আগামী পর্বে আপনারা দেখতে পাবেন যে, ডোডো চাঁদনির সাথে শেষবারের মত দেখা করতে চায়। এরপর কী হবে, সেটা তো সময়ই বলবে।