নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলার পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নততর করে তোলার জন্য ইতিমধ্যে একটার পর একটা বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। আর এবার বাংলার ভিতরে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য নতুন রূপে জাতীয় সড়ক নির্মাণ(National Highways) করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার(West Bengal Government)। অতি শীঘ্রই এই রাজ্য সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
নবান্নর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের আগেই নতুন দুটো জাতীয় সড়কের কাজ করার চিন্তাভাবনা কার্যকর করা হচ্ছে। এই জাতীয় সড়ক নিয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই দুটো জাতীয় সড়ক নির্মাণ হলে একদিকে যেমন যাতায়াতের দূরত্ব অনেক কমবে, ঠিক তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার অনেক বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাস্তা তৈরি হবার ফলে আমদানি এবং রপ্তানি করতে সুবিধা হওয়ার জন্য ব্যবসায়িক দিক থেকে অনেক প্রসার ঘটবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ইতিমধ্যেই এই দুটো রাজ্য সরকার নির্মাণ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই নতুন দুই জাতীয় সড়ক তৈরি করার জন্য জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ কত টাকা নির্ধারিত হবে। সেই বিষয়েও ৯০ শতাংশ সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। আর বাকি যে জেলাগুলোতে সমীক্ষা বাকি আছে সেগুলোর কাজ নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৪-র ছুটির তালিকা প্রকাশ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, এত ছুটি দেখে খুশিতে লাফাচ্ছেন সকলে
বৈঠকে রাজ্যের অন্যান্য জাতীয় সড়ক গুলোর অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট গ্রহণ করেন মুখ্যসচিব। তিনি নির্দেশ দেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথের মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। এবার মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই উপকার হবে। নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে যে ডানকুনি থেকে বারানসি এবং খড়গপুর থেকে মুর্শিদাবাদে মোরগ্রাম পর্যন্ত এই দুটো জাতীয় সড়ক নির্মাণ হবে।
নতুন দুটো জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে বৈঠকে জানা গিয়েছে যে মূলত ফাঁকা জমির উপর দিয়েই এই জাতীয় সড়ক গড়ে তোলা হবে। এমনকি এই দুটি জাতীয় সড়ক এমনভাবে নির্মাণ করা হবে যাতে নির্মাণ কাজের কারণে ওই অঞ্চলে বসবাস করা সাধারণ মানুষকে বিশেষ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়। এই প্ৰসঙ্গে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও একটি আলোচনা সম্পন্ন করেছে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।