Neem Phuler Madhu

Moumita

বাবুউউর মা’র গল্প শেষ! এবার ঠাম্মিকে নিয়ে জোরকদমে লড়াই দত্ত বাড়িতে, গল্পে আসছে ধামাকা পর্ব

জি বাংলার(Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। বিয়ের সময়ই ঠাম্মি পর্ণাকে বলেছিলেন, বিয়ের পর একটা বছর তেঁতো। সেই তেঁতোটুকু পার করতে পারলে তবেই মধুর সন্ধান পাওয়া যায়। ঠাম্মির সেই কথা মেনে পর্ণা আজ দত্তবাড়ির স্বাধীন বৌ। যে নিজের অধিকার বুঝে নিতে জানে। তবে এতদিন পর সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন ঠাম্মি নিজে।

   

এই সিরিয়ালের সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকার দিকে চোখ রাখলেই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার কথা বোঝা যায়। রোজ রোজ একটু একটু করে ধাপে উঠছে ধারাবাহিকটি। আসলে নায়িকা পর্ণার সামনে এসে হাজির হচ্ছে একটার পর একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। একটা সমাধান হতে না হতেই এসে হাজির হচ্ছে আরো একটা। আর তাতেই আসন ছেড়ে উঠতে পারছেনা দর্শকরাও।

এই যেমন সম্প্রতি ছোটকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর শুরু আরেক নতুন সমস্যা। আর এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ির কর্ত্রী অর্থাৎ ঠাম্মা হেমনলিনী দেবীকে নিয়ে। এতদিন বাড়ির বাকি সকলকে বিভিন্ন বিপদ থেকে বাঁচানোর পর এবার পালা কর্ত্রী হেমনলিনী। সম্প্রতি তার পরিচয় নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। আর ঠাম্মির এই বিপদের দিনে তার পাশে দাঁড়িয়েছে, সাধের নাতবৌ পর্না।

ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা তো জানেনই যে, দত্ত বাড়িতে রয়েছে এক বহুমূল্য গুপ্তধন। অনেক বছর আগে পাবনার এক জমিদার জমিদারি নিলামি হওয়ার সময় তাদের বাড়ির কুলদেবতা সোনার গণেশকে রেখে গিয়েছিলেন দত্ত বাড়িতে। আর সেই গুপ্তধন যাতে নিজের ছেলের হাতে না পড়ে সেই কারণেই এক গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলেন ঠাম্মির শ্বশুর মশাই।

তবে সমস্যা হল যে, এই গুপ্তধনের সন্ধান তিনি তার পুত্রবধূকেও দিয়ে যাননি। কারণ তিনি ভালোমতোই জানতেন যে, তার কুলাঙ্গার ছেলে কোন না কোনভাবে গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েই যাবে। তাই তিনি দিয়ে গেছিলেন এক জটিল ধাঁধা। আর কেউই যখন সেই ধাঁধার সমাধান বের করতে পারলনা তখন আশার আলো দেখায় পর্ণা।

এসবের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিরিয়ালের নতুন প্রোমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পর্ণাই উদ্ধার করেছে দত্তবাড়ির কুলদেবতা অর্থাৎ সোনার গনেশ ঠাকুর। বাড়ির সবাই যখন সেই গণেশের দাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে ঠিক তখনই সেখানে এসে হাজির এক বৃদ্ধা। তিনি গণেশ মূর্তিটি ছিনিয়ে নেন। আর তারপরেই সেখানে এসে উপস্থিত হেমনলিনী দেবী।

এসেই তিনি অপর মহিলাকে তার নাম ধরে পিয়ালী বলেও ডেকে ওঠেন। অর্থাৎ একথা স্পষ্ট যে, তারা দুজনেই পূর্ব পরিচিত। এরপর সকলকে চমকে দিয়ে ঐ বৃদ্ধা বলে ওঠেন, হেমনলিনী দেবী নয় আসলে দত্ত বাড়ির বৌ তিনি। এরপর বাবুর মা রীতিমতো কথা শোনাতে থাকে তাকে। যদিও গোটা বিষয়টিতে ঠাম্মির পাশে দাঁড়িয়েছে পর্ণা।