নেহা কক্কর,বলিউড,বিনোদন,সঙ্গীত শিল্পী,জীবন কাহিনী,Neha Kakkar,Bollywood,Entertainment,Singer,Life Story

Moumita

টাকার জন্য একসময় বাড়িতে বাড়িতে ভজন গাইতেন, নেহা কক্করের সাফল্যের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও

বর্তমানে বলিউডের (Bollywood) শীর্ষস্থানীয়া প্লেব্যাক গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। খুব অল্প সময়েই বিটাউনে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন তিনি। সাকি সাকি থেকে শুরু করে লন্ডন থুমকদা গান প্রায় সকলেই শুনেছেন। আজ তার গান শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে বলিউডের এতো তাবড় তাবড় গায়কদের মাঝে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করা এতোটাও সহজ ছিলো না। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই নিজের স্ট্রাগল শুরু করেছিলেন নেহা ও তার পরিবার। হৃষিকেশে একতলা জীর্ণ বাড়িতে থাকতেন পুরো পরিবারের সঙ্গে। আসুন দেখে নিই তার ৫০০ টাকা থেকে ৩৪ কোটি টাকার জার্নি।

   

৬ জুন উত্তরাখন্ডের হৃষিকেশে জন্মগ্রহণ করে নেহা। তবে ছোটবেলাতেই কাজের অভাবের কারণে বাবার ও পরিবারের সাথে দিল্লি চলে আসেন নেহা কক্কর। প্রসঙ্গত নেহার এক দিদি (সোনু) এবং এক ভাই (টনি) রয়েছে। দিল্লিতে নেহার বাবা সোনুর স্কুলের সামনে সিঙ্গারা বিক্রি করতেন। এরফলে সোনুকে তার সহপাঠীদের কাছে প্রায়শই হাসির পাত্রী হতে হতো। এইসবের কারণে একটা সময় সোনু স্কুল বদলাতেও বাধ্য হয়।

নেহা কক্কর,বলিউড,বিনোদন,সঙ্গীত শিল্পী,জীবন কাহিনী,Neha Kakkar,Bollywood,Entertainment,Singer,Life Story

মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, সেইসময় নেহা আসেপাশের জায়গায় গান গেয়ে বেড়াতেন। সেইসময় পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি পেতেন মাত্র ১০০ টাকা। একমুঠো অন্নের জন্য তাদের পরিবারের প্রতিটি ভাইবোনকেই অন্যের বাড়িতে ভজন গাইতে যেতে হত। কোনো অনুষ্ঠানে কিংবা পুজোপার্বনে মায়ের সঙ্গে এই তিন ভাইবোন মাইক হাতে গলা মিলিয়ে গান গাইত। এরপর ২০০৪ সালে মায়া নগরীতে পা রাখেন নেহা, জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’- অডিশন দেন তিনি। যদিও ভাগ্য সাথে না থাকায় সেইবার সুযোগ পাননি তিনি। এরপর ২০০৬ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের তিনি প্রতিযোগী হিসেবে যোগদান করেন । তার পরেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় নেহা কক্করের। আজ তাকে এই শো’এরই বিচারকের আসনে দেখা যায়।

নেহা কক্কর,বলিউড,বিনোদন,সঙ্গীত শিল্পী,জীবন কাহিনী,Neha Kakkar,Bollywood,Entertainment,Singer,Life Story

এরপর ২০০৮ সালে মিট ব্রাদার্সের সাথে যৌথভাবে নেহা তার নিজস্ব অ্যালবাম ‘নেহা দ্য রকস্টার’ রিলিজ করেন। সেইসময় বলিউডে বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টে কাজ করলেও ২০১০ সাল পর্যন্ত বলিউডে কোনো বিশেষ স্থান পেতে পারেননি, যদিও তিনি কন্নড়, তেলেগু চলচ্চিত্রে কাজ পেতে শুরু করেছিলেন। এরপর ২০১২ সালে, নেহা ককটেল ছবিতে প্রীতমের সেকেন্ড হ্যান্ড জওয়ানি গানটি গাওয়ার সুযোগ পায়। এই গানটিই নেহাকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর রাস্তা করে দেয়। এরপর জাদু কি ঝাপ্পি, ধাতিং নাচ, লন্ডন ঠুমকাদা-এর মতো হিট গান দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।

আজ নেহা বলিউডের‌ সবচেয়ে জ‌‌‍নপ্রিয় গায়িকা এবং তার পারিশ্রমিকের অঙ্কটাও বেশ বড়সড়। বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি। প্রতিটি গানের জন্য তিনি প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা চার্জ করেন। এইমুহুর্তে তিনি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল এবং সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত গায়িকা, যিনি স্টেজ পারফরম্যান্সের জন্য প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা নেন। নেহা বর্তমানে মুম্বাইয়ের প্যানোরামা টাওয়ারের প্রাইম লোকেশনে যে বাড়িতে থাকেন তার মূল্য প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ঋষিকেশে একটি বিলাসবহুল বাংলোও কিনেছেন নেহা। এছাড়াও নেহার গাড়ির সংগ্রহে রয়েছে অডি Q7 এবং BMW।