বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, এমন একজন অভিনেত্রী পা রেখেছিলেন বলিউডে, যিনি এসেই নিজের সৌন্দর্যে সম্পূর্ণরূপে বিমোহিত করেছিলেন মানুষকে। মডেলিং দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীকালে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অভিনয় জগতে। আজ আমরা কথা বলছি বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী অমৃতা রাও’এর কথা। উল্লেখ্য, ১৪ মাসেরও কম সময়ে ৩৫ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও নিজের ব্যস্ত কেরিয়ার সামলে পড়াশোনাতেও তুখোড় রেজাল্ট করতেন অমৃতা।
মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা, ২০০২ সালে কানওয়ার পরিচালিত ‘আব কে বরস’ ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করে অমৃতা। তবে ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কেএন ঘোষের চলচ্চিত্র ‘ইশক ভিশক’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেন। তবে তার চলচ্চিত্র জগতের মাইলস্টোন বলা যায় ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিবাহ’ ছবিটিকে। এটিই তার সর্বাধিক সফল ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায় হুঁ না’ এবং ২০০৮ সালে ‘ওয়েলকাম টু সজ্জনপুর’ ছবিতে অমৃতার ভূমিকা তাকে স্টারডাস্ট সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এনে দেয়। এছাড়াও এই একই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য মনোনীতও হন।
এমনকি ২০১১ সালে টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদনে অমৃতাকে বলিউডের ৫০ জন মোস্ট ডিজায়ারেবল উইমেন’-এর একজন বলে ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেন অমৃতা অভিনীত অন্যতম সেরা ছবি ‘বিবাহ’ দেখার পর জানান এই অভিনেত্রী তার জীবনের অনুপ্রেরণা। শুধু তাই নয় হুসেন তাঁর লাইভ পেইন্টিংও করেছিলেন। মাধুরী দীক্ষিতের পর অমৃতা রাও ছিলেন দ্বিতীয় অভিনেত্রী, যার লাইভ পেইন্টিং তৈরি করেছিলেন এম এফ হুসেন।
প্রসঙ্গত networthier.com এর মতে, অভিনেত্রী অমৃতা রাও-এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০০ মিলিয়নের সমান। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তার আয়ের প্রধান উৎস তার অভিনয়। জানিয়ে রাখি বড়ো পর্দা ছাড়াও তাকে টেলিভিশনে ‘মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায়’-এ ধারাবাহিকে দেখা গেছে দেখছেন। এছাড়াও অনেক বড়ো বড়ো ব্র্যান্ডের হয়ে বিজ্ঞাপনও করে থাকেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলতে গেলে, দীর্ঘ ৭ বছরের প্রেম পর্বের পর জনপ্রিয় রেডিও জকি আনমোলের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।