শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government Of West Bengal) কর্মচারীদের জন্য নতুন নিয়ম। না মানলেই খাঁড়ার ঘা! আসলে, সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বিশেষ কারণে বন্ধ হয়ে যাবে স্বাস্থ্য প্রকল্পের পোর্টাল। ব্যবহারকারীরা তালিকাভুক্তি বা এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে বা পোর্টালে প্রবেশ করতে পারবেন না। হঠাৎ এমন নিয়ম কেন আনল রাজ্য সরকার?
উল্লেখ্য, ডেটা স্টোরেজ নিয়ম চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে ডেটা সংরক্ষণ করা হবে। স্বাস্থ্য প্রকল্পের তথ্য ছাড়াও, রাজ্য সরকারের টাকা দিয়ে চালানো কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রী, বাংলা আবাস যোজনা এবং স্বাস্থ্য সাথীর মতো অন্যান্য রাজ্য পরিচালিত প্রকল্পের তথ্যও নতুন রাজ্য ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে। এতদিন এই তথ্য দিল্লির জাতীয় ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হত। তবে, এখন থেকে, সমস্ত স্বাস্থ্য প্রকল্পের তথ্য রাজ্যের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বলা বাহুল্য, ডেটা সংরক্ষণের পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের তরফে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি আরও ভাল সুরক্ষা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। কিন্তু তা হলেও ঝামেলার শেষ থাকবে না কর্মীদের! এমন পরিস্থিতিতেও বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারিতেই এই নিয়মের সূচনা
অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের ডেটা সেন্টার থেকে ডেটা স্থানান্তর করা হলেও, পূর্ববর্তী সমস্ত ডেটার ব্যাকআপ জাতীয় ডেটা সেন্টারে থাকবে। স্থানান্তর সম্পন্ন হওয়ার পরে, সমস্ত ডেটা সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হবে। আর এই ডেটা মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। তাই স্বাস্থ্য প্রকল্পের পোর্টালটি ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০:০০ টা থেকে দুপুর ১২:০০ টা পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। নতুন স্টোরেজ সিস্টেমে তথ্য সহজে স্থানান্তরের জন্য এদিন পোর্টাল বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে।
পোর্টাল বন্ধের ফলে সমস্যার সমাধান কীভাবে?
পোর্টাল বন্ধের ফলে সুবিধাভোগী এবং চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারীরা যাতে প্রভাবিত না হন তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ পদ্ধতি পরিকল্পনা করেছে। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর। এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে:
১) পোর্টাল বন্ধ থাকলেও সুবিধাভোগীরা এখনও স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সক্ষম হবেন।
২) এই সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছাড়ানো বা অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
৩) মাইগ্রেশনের পরে পোর্টালটি পুনরায় চালু হওয়ার পরে, সমস্ত তথ্য এবং তালিকাভুক্তি সার্টিফিকেট অ্যাক্সেসযোগ্য হবে।