মাত্র দুই মাস আগে শেষ হয়েছে “ওগো নিরুপমা”। এখনো ঠিকমতো চরিত্র থেকে বের হতে পারেননি অর্কজা আচার্য। এখনো পর্যন্ত “নিরুপমা”র গন্ধ ভালো করে গা থেকে যায়নি, তার আগেই অভিনেত্রী জীবন ঘুরে গেল সম্পূর্ণভাবে। ঘরের মেয়ে থেকে তিনি হয়ে গেলেন পুলিশ অফিসার।বৃহস্পতিবার দিনভর তিনি ছিলেন আইপিএস অফিসার রূপে। কিন্তু কেন? আসলে “মিঠাই” ধারাবাহিকে আইপিএস অফিসার, বসুন্ধরা বসু হয়ে আসছেন তিনি। রুদ্রকে তদন্তে সাহায্য করার জন্য বদলি হয়ে এসেছেন বসুন্ধরা। শুধু তাই নয়, প্রেম করবেন মাহিম মির্জার সঙ্গে।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, রুদ্রকে ভীষণভাবে পছন্দ করে রুদ্রের বন্ধু সিদ্ধার্থের বোন শ্রীনিপা। তার কি হবে? এই কথার উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “এখনও কিছু জানানো যাবে না। তবে ঐন্দ্রিলা সাহা ওরফে শ্রীনিপার অবস্থা খুবই খারাপ। সে সবকিছু বুঝেও বলতে পারছেনা রুদ্রকে মনের কথা। কারণ বসুন্ধরা এবং রুদ্র পূর্ব পরিচিত”।
পুলিশের পোশাকে নিজেকে কেমন লাগলো? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “টাইট খোপা, পুলিশের উর্দি এবং হাতে লাঠি নিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে যায় ঘাবড়ে গিয়েছিলাম আমি। আস্তে আস্তে ধাতস্থ হয়েছি। মর্দানি সিনেমা রানী মুখার্জি কে স্মরণ করে অভিনয় করেছি। আস্তে আস্তে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে অসুবিধা হয়নি”।
প্রসঙ্গত, অর্কজার প্রথম অভিনীত চরিত্র ছিল একেবারেই অন্যরকম। “ওগো নিরুপমা” নামক ধারাবাহিকে তিনি যেমন একাধারে ছিলেন “কুৎসিত” নিরুপমা তেমনি অন্যদিকে ছিলেন “সুন্দরী” সংযুক্তা। সেখান থেকে কাজ তিনি অন্যতম বিখ্যাত ধারাবাহিক “মিঠাই”য়ের প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি।
