মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani) এবং নীতা আম্বানির(Nita Ambani) পুত্রবধূ শ্লোকা মেহতার(Shloka Mehta) গয়নার(Ornaments) কালেকশন(Collection) শুনলে যে কোন মানুষেরই মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা। বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা ব্র্যান্ড মৌওয়াদ-র বহু কালেকশন শ্লোকার লকারে শোভা পায়। এতে কোন সন্দেহ নেই যে এই ব্র্যান্ডটি মূলত সেরা গহনা, এবং লাক্সারি ঘড়ি তৈরির জন্য বিখ্যাত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্লোকার কাছে এমন কিছু গয়নাও রয়েছে যেগুলি নাকি বেশ দুর্লভ। এ ছাড়াও সবসময় হালফ্যাশনের পোশাকআশাকের জন্যও তিনি চর্চায় থাকেন। বিয়ের দিনে সোনার কাজ করা লাল রঙের পোশাকে শ্লোকা সেজেছিলেন রানির বেশে। তবে এসবের মধ্যেই সকলের চোখ কেড়েছিল তার জাদাউ পোল্কি হিরে এবং পান্নাখচিত ঢাউস গলার হার।
এইদিন এই গলার হারের পাশাপাশি তিনি পরেছিলেন মানানসই কানের দুল, টিকলি, নথ এবং চোকার। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জাদাউ পোল্কি হিরের গয়নার সেটটির আনুমানিক দাম ছিল ৩ কোটি টাকা। এমনিতে যে কোন অনুষ্ঠানেই শ্লোকাকে হিরের গয়না পরতে দেখা যায়। যাদের দাম কোটি টাকার উপরে। তবে সবচেয়ে বেশি চর্চায় এসেছিল নীতা আম্বানির দেওয়া ৪৫১ কোটির হারটি।
জানা যায় শ্লোকার বিয়ের সময় একটি হিরের হার দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন নীতা এবং মুকেশ আম্বানি এবং এই হারটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি হিরের নেকলেস। কারণ এই নেকলেসেই রয়েছে সবচেয়ে বড় এবং নিখুঁত হিরে। এই সেটটি তৈরি করেছিল লেবাননের বিখ্যাত কোম্পানি মৌওয়াদ। সেই সময় সবচেয়ে দামি নেকলেস হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিল এটি। তবে দুঃখের বিষয় হল এটি আর বাজারে পাওয়া যায় না।
একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, শ্লোকার অনন্য ‘মৌওয়াদ’র তৈরি অতুলনীয়’ নেকলেসটি ২০২২ সালে সোথেবি’তে প্রদর্শিত হয়েছিল। সেখানে হলুদ-আভাযুক্ত হীরাটির মধ্যে কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। প্রথমত, আকৃতির উন্নতির সাথে সাথে তার গভীরতা এবং উজ্জ্বলতা সর্বাধিক করার জন্য হীরাটি কেটে ফেলা হয়েছিল এবং এতে হীরের ওজনও কমে গেছিল। এভাবেই শ্লোকার নেকলসটি বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন ডিজাইনের একটি নেকলেস বাজারে চলে আসে।