Hill Station

Papiya Paul

জানলা খুললেই মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘা, ছুটিতে ঘুরে আসুন এই হিল স্টেশন থেকে, ভুলবেন দিঘা-দার্জিলিং

বাঙালির বেড়ানো মানেই, দী-পু-দা। তবে গরমকালে দীঘা পুরি মানেই কাঠফাটা গরম আর রোদ। এমতাবস্থায় বাকি রইল বাঙালির সবে ধন নীলমণি দার্জিলিং(Darjeeling Hill Station)। তবে এই শহরের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে জনঘনত্ব। তাই এখন অনেকেই চাইছেন অফবিট দার্জিলিং। আজ এমনই এক অফবিট ডেস্টিনেশনের(Destination) সন্ধান রইল নিউজশর্টের পাতায়।

   

আমাদের আজকের ডেস্টিনেশন হল পানবুদারা (Panbu Dara)। দার্জিলিং (Darjeeling) বা গ্যাংটক থেকে ফেরার পথেই পড়বে এই অফবিট ডেস্টিনেশন। কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ এবং সেই সঙ্গে তিস্তার কলকলানি, সবে মিলিয়ে একান্তে সময় কাটানোর একেবারে আদর্শ জায়গা এটি। ৫৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পানবুদারায় দেখার কী আছে তা বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বছরের সব সময়ই পানবুতে আসা যায়। যদিও বেশিরভাগ মানুষ গরমের ছুটিতেই ঘুরতে যায়, তবে জানিয়ে রাখি, গ্রীষ্মকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও কাঞ্চন চূড়া দেখা যায়না। কারণ সেই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি মেঘের আস্তরণ থাকে। তাই একবার বর্ষা পেরিয়ে গেলে কাঞ্চন চূড়া একেবারে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তবে যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেননা তারা আরেকটু ওয়েট করে যান বরং। কারণ অক্টোবরে পুজোর সময় জন সমাগম একটু বেশিই থাকে। সেক্ষেত্রে নভেম্বর মাস একেবারে আদর্শ সময়। আসলে পাহাড় বা অন্যান্য জায়গা থেকে পানবুর ভিউ একটু অন্যরকম। বলা চলে, এখানকার সৌন্দর্য যেন আরো বেশি।

কীভাবে দেখবেন : কালীঝোরা হয়ে আসার পথে রাস্তায় পড়বে তিস্তা। এক অপূর্ব সুন্দর ভিউ পাবেন আপনি। তার সাথেই দেখতে পাবেন, সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এর খুব কাছেই রয়েছে ইয়ামাখুম। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার খুব ভালো ভিউ পাওয়া যায়‌। এখানে থাকার ব্যবস্থাও খুব সুন্দর। রাস্তাঘাট ভালো হওয়ার সৌজন্যে হোম স্টের দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে। রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও।

কীভাবে যাবেন? : শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুর দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। তবে কালীঝোরা হয়ে গেলে এই দূরত্ব খানিকটা কম হয়। এখানে শুধু পানবুদারাই নয়, খুব কাছেই রয়েছে ইয়াং মাকুম আর সামথার। এখান থেকে চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিনের সৌন্দর্যও চাক্ষুষ করে আসতে পারেন।