পার্থ মান্নাঃ দুদিনের ছুটিতে কলকাতার কাছাকাছি ঘুরতে যেতে চান? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য। ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে কলকাতার কাছেই রয়েছে পাহাড়-জঙ্গল-ঝর্ণায় ঘেরা এক সুন্দর গ্রাম। যেখানে একবার গেলে হয়তো ফিরতেই মন চাইবে না। চারিদিকে সবুজে ঘেরা এই ডেস্টিনেশন কোথায়? যাওয়া থেকে থাকা সহ বাজেট সব তথ্যই রইল আজকের প্রতিবেদনে।
পাহাড়-জঙ্গল-ঝর্ণায় ঘেরা গ্রাম মুরগুমা
মুরগুমা পৌঁছে সবচেয়ে ভালো থাকার জায়গা হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লজ। যেটা একেবারে পাহাড়ের পাশেই অবস্থিত। তাই এখানে যদি বুকিং করে ফেলেন তাহলে ঘুম থেকে উঠেই জানলা দিয়ে বাইরের সুন্দর প্রকৃতি দেখা যাবে। এমনকি চায়ের কাপ হাতে ওয়াচ টাওয়ারে গিয়েও বসতে পারেন। এরপর লোকাল সাইট সিইংয়ের জন্য বেরোতে পারেন গাড়ি ভাড়া করে। কি কি দেখার মত জায়গা আছে, তা নিচে জানানো হল।
মুরগুমাতে দেখার জায়গা
মুরগুমা পৌঁছালে যেটা সবার আগে দেখতেই হবে সেটা হল মুরগুমা ড্যাম। এরপর মুরগুমা পাহাড়ের উপরে রয়েছে একটি ভিউ পয়েন্ট যেখান থেকে চারিদিকের একটা সুন্দর ভিউ পাওয়া সম্ভব। তারপর কাছের জলপ্রপাত দেখে রওনা দিতে পারেন অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। এছাড়াও মার্ভেল লেক, লোয়ার ড্যাম থেকে চড়িদাহ মাস্ক ভিলেজ।
কিভাবে পৌঁছাবেন মুরগুমা?
যদি ট্রেনে করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে হাওড়া থেকে পুরুলিয়াগামী চক্রধরপুর এক্সপ্রেস বা রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস যে কোনো ট্রেনে উঠে পড়ুন। তারপর স্টেশনে নেমে প্রাইভেট গাড়ি বুক করে পৌঁছে যেতে পারেন মুরগুমা। চাইলে গাড়িতেও পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতেই পারেন। কলকাতা থেকে মুরগুমার সড়কপথের দূরত্ব ৩৫০ কিমির মত।
থাকা খাওয়া সহ বাজেট
যাতায়াতের জন্য যদি ট্রেন ব্যবহার করেন তাহলে ১৫০ থেকে ২২০ টাকায় ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। এরপর পুরুলিয়া থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টুরিস্ট লজে, সেক্ষেত্রে খরচ হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যেই। অনলাইনে লজ বুকিং করা সম্ভব। এখানে ২৭০০ টাকা থেকে ৩৮০০ টাকা প্রতিদিন হিসাবে রুম পাওয়া যাবে। খাওয়া দাওয়ার খরচও মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই।