বয়কট সংস্কৃতি নিঃসন্দেহে বলিউডের বেশ বড়ো রকমের ক্ষতি করেছে। আর এটা যে শীঘ্রই থামবে না তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। কারণ মানুষের পরবর্তী টার্গেট রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের ব্রহ্মাস্ত্র। গোটা ভারতজুড়ে যেখানে বলিউডকে বয়কট করার উত্তেজনা তুঙ্গে সেখানে অনুরাগীদের বক্তব্য এই গোটা ব্যাপারটাই নাকি ফেক।
যদিও ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি যে মানুষ কীভাবে ‘লাল সিং চাড্ডা’এবং ‘রক্ষা বন্ধন’ বয়কট করা জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। এমনকি বাদ যায়নি বিজয় দেবরাকোন্ডার ‘লাইগার’ও। বক্স অফিসে একেবারে ফিকে অক্ষয় এবং আমিরি ম্যাজিক। এবার এইসব নেতিবাচক মন্তব্যের কারণেই ছবিগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে কি না জানা নেই তবে এটুকু নিশ্চিত যে, বয়কটের কারণে ছবি সহ অভিনেতা বিশেষ করে খানেদের খ্যাতি নষ্ট হতে বসেছে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যা অবস্থা তাতে করে রণবীরের আসন্ন ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ও এই বয়কট ঝড়ের হাত থেকে রেহাই পাবে বলে মনে হচ্ছে না। যদিও এবার বলিউড সমর্থকরা বয়কট ট্রেন্ড-এর বিরুদ্ধে মাঠে নামতে প্রস্তুত। তবে এই সমর্থন কতক্ষন টিকবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক বলিউড ভক্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যাতে কিছু পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। সেই পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, 100K বয়কট টুইটের মধ্যে 75.5% টুইট করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে এবং মাত্র 1.8% টুইট করা হয়েছে ভারত থেকে।
— Chaudhary Sahab (@mandeepjaat11) September 1, 2022
যদিও এই পরিসংখ্যান সত্যি কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে এগুলি যদি সত্যি হয় তাহলে এটা সত্যিই ভাবার বিষয় যে, পাকিস্তান থেকে এগুলি কে বা কারা করছে? এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কী? আবার যদি বলিউডের বক্স অফিস কালেকশনের দিকে তাকানো হয় তাহলে এটাও স্পষ্ট যে, ভারতীয়রাও এখন আর বলিউডকে সমর্থন করছেনা।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় তথা সনাতন সংস্কৃতিকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে বলিউডের বিরুদ্ধে। ‘হিন্দুবিরোধী প্রোপাগান্ডামূলক কাজকর্ম বন্ধ না করলে এই বয়কট ট্রেন্ড চলতে থাকবে’, এমনটাই বক্তব্য দর্শকদের। ঔদ্ধত্ব, দ্বিচারিতা এসব থেকে বেরিয়ে এলেই আখেরে ইন্ডাস্ট্রির মঙ্গল, এমনটাই পরামর্শ নেট নাগরিকদের।