প্রায় দুই বছর টানা বিরতি, খুব শীঘ্রই যে ছোটোপর্দায় ফিরছেন সেই খবর পাওয়া গেছিলো আগেই। তবে কবে বা কোন প্রোজেক্টের হাত ধরে ফিরছেন সে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেত্রী। আর এবার তো একেবারেই চমকেই দিয়েছেন সকলকে। খবর দেননি ঠিকই কিন্তু সোজা নিয়ে চলে এসেছেন প্রোমো। প্রকাশ্যে পল্লবী শর্মা এবং রুবেল দাসের পরবর্তী মেগার ট্রেলার।
জি বাংলার হাত ধরে ছোটো পর্দায় কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী। ধারাবাহিকের নাম ‘নিমফুলের মধু’। নামের মতো কনসেপ্টটাও যে ইউনিক হবে তা প্রোমো দেখেই আন্দাজ করা যায়। সত্যি বলতে অভিনেত্রীর এরকমই একটা কামব্যাকের জন্য অপেক্ষা করেছিলো সবাই।
প্রসঙ্গত, এর আগে পল্লবীকে তার আসন্ন কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে, তিনি চান দর্শকরা আগে তার জবা চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসুক। এবং এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। পল্লবীর এই কথা থেকেই আন্দাজ করা যায় যে, তার আসন্ন ধারাবাহিক নিশ্চয়ই গড়পরতা সিরিয়ালের কাহিনী থেকে আলাদা কিছু হবে।
অবশ্য প্রোমো দেখেও তাই মনে হচ্ছে যদিও। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শেয়ার করা প্রমো থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, আদ্যোপান্ত প্রেম এবং সংসারের গল্প বলবে ‘নিমফুলের মধু’। পল্লবীকে দেখা যাবে এক গৃহবধুর ভূমিকায়। শশুরবাড়িতে তার শাশুড়ির প্রভাব সাংঘাতিক। তার কথার উপর কথা বলে এই সাধ্যি তার ছেলের নেই। আর এদিকে পল্লবী মনে করে স্বামী পাশে থাকলে সব বাধা কাটিয়ে দেওয়া যায়।
বাপের বাড়ির ঠিক উল্টো শশুরবাড়িতে হাজার একটা নিয়ম। ঘোমটা ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোতে পারেনা বড়ির বউরা। এমতাবস্থায় কীভাবে মানিয়ে নেবে সে? কে তাকে সাহায্য করবে এই পরিস্থিতিতে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেন বাড়ির বয়স্ক সদস্য ছেলের ঠাকুমা। তিনি পল্লবীকে বোঝান, ‘বিয়ের প্রথম বছরটা হলো নিমফুলের মধু। তেঁতো টুকু পার করলে তবে না মিঠের হদিশ পাবি’।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
ধারাবাহিকে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন লিলি চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ দত্ত এবং অনেকেই। প্রোমো দেখার পর বেশ উচ্ছাস জেগেছে অনুরাগীদের মনে। গল্প সাংসারিক হলেও একটু ভিন্ন হবে বলেই ধারণা সবার। যেমন কমেন্ট বক্সেও এই নিয়ে প্রশ্ন করেছে অনেকেই। কেউ বলেছে, ‘এবারও তুমি ভিন্ন ধরনের কাজ করবে তো?’ আবার কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রোমো সুন্দর, কিন্তু পরে যেন আবার সেই বাকিদের মতো না হয়ে যায়।’