বিনোদন,টলিউড,টলিউড গসিপ,প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি,অভিষেক চ্যাটার্জি,Entertainment,Tollywood,Tollywood Gossip,Prasenjit Chatterjee,Abhisekh Chatterjee

Papiya Paul

অন্য অভিনেতার সাফল্য সহ্য করতে পারতেন না! অভিষেকের মৃত্যুর পর এই প্রথম মুখ খুললেন বুম্বা দা

অভিষেক চট্টোপাধায়ের(Abhisekh Chatterjee) মৃত্যুর পর টলিউডকে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের অনেক কাহিনী ফাঁস হয়েছিল। যার মধ্যে স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে চর্চা চলেছে। কারণ জীবিত অবস্থায় অভিষেক চট্টোপাধ্যায় টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তথা প্রসেনজিতের(Prasenjit Chatterjee)দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।

   

তার মন্তব্য ছিল প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার জুটি ষড়যন্ত্র করে তাকে ২০ টি সিনেমা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে স্বামীর মৃত্যুর পর সংযুক্তার কাছ থেকেও এই কথা শোনা গিয়েছিল। তবে নিজের ওপর ওঠা এই বিতর্ক নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার এতদিনে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে অভিষেক এবং তিনি খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। তারা দুজনে একসঙ্গে প্রচুর কাজ করেছেন। হঠাৎ করে অভিষেকের মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারেনি। এরই সাথে তিনি আরেক অভিনেতা তাপস পালকে নিয়ে ও স্মৃতিচারণ করেছেন। অভিষেকের মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছে যে প্রসেনজিৎ নাকি অন্যের বেশি সাফল্য সহ্য করতে পারতেন না।

তাই অন্য অভিনেতাদের উন্নতি হলে তিনি সেখানে বাধা দিতেন। তবে প্রসেনজিৎ এদিন বলেন, তিনি কখনোই এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। এখনো বলবেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, ইতিহাস ঠিকই কথা বলবেন। যেগুলো সত্যিই সেগুলো কখনো বদলে যেতে পারে না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রসেনজিৎ। এদিন টলিউডের ‘ইন্ড্রাস্ট্রি’ নাম নিয়ে তাকে ডাকা হয়, এই নিয়েও মন্তব্য করেছেন।

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সাথে কাজ করা অভিনেতা আজও ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলতে বাংলা ছবির দুনিয়াকে বোঝেন। তার কথায়, যত দিন কেটেছে বদলেছে ছবির ধরন, বদলেছে মানুষের পছন্দ। একটা সময় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতারা রাজ করেছেন টলিউডের। ধীরে ধীরে তাদের চরিত্রে বদল এসেছে, তাদের জায়গায় এসেছেন পরের প্রজন্ম চিরঞ্জিত, তাপস পাল, অভিষেক, প্রসেনজিৎ-এর মতো অভিনেতারা। প্রসেনজিৎ জানিয়েছে এভাবেই কাজ করতে করতে ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব এসে পড়েছে তাদের ওপর‌।