স্কলারশিপ,প্রেম কুমার,বিহার,সাফল্য,মার্কিন কলেজ,Scholarship,Prem Kumar,Bihar,Success,Amarican College

Moumita

দিন মজুরের ছেলে পড়তে চলল বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানে, মা হারা সন্তান প্রেম কুমারের সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশবাসী

কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠা একটা মানুষকে যে, রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যেতে পারে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ হলো বিহারের বাসিন্দা প্রেম কুমার। নজিরবিহীন উদাহরণ তৈরি করেছে পাটনার এক দরিদ্র শ্রমিকের ১৭ বছর বয়সী প্রেম কুমার। মা হারা এই ছেলের সাফল্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে সারা দেশ জুড়ে। চলুন দেখে নিই কী ঘটেছে আসলে।

   

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, প্রেম কুমার বিহারের রাজধানী পাটনার ফুলওয়ারি শরীফের বাসিন্দা। তার বাবা জিতান মাঝি একজন সামান্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ১০ বছর আগেই ৬ সন্তানকে রেখে গত হন তার মা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রেম কুমার দানাপুর থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। সম্প্রতি নিজের কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা জায়গা করে নিয়েছেন আমেরিকার শীর্ষ কলেজে। এর সাথে সাথে ২.৫ কোটি টাকার স্কলারশিপও পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, প্রেম কুমার যে কলেজে পড়তে যাচ্ছেন সেটি আমেরিকার শীর্ষ ২৫ টি কলেজের মধ্যে অন্যতম। ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি আমেরিকার ‘হিডেন আইভি’ কলেজের মধ্যে ধরা হয়।

স্কলারশিপ,প্রেম কুমার,বিহার,সাফল্য,মার্কিন কলেজ,Scholarship,Prem Kumar,Bihar,Success,Amarican College

স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেম কুমার বিহারের মহাদলিত মুসাহার সম্প্রদায়ের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনিই পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি কলেজে পা রাখবেন। জেনে গর্বিত হবেন, লাফায়েট কলেজ থেকে এই ডায়ার ফেলোশিপ পাওয়া বিশ্বের ছয়জন ছাত্রের মধ্যে প্রেম কুমার একজন।

প্রেম কুমারের কথা অনুযায়ী, তিনি ডেক্সটিরিটি গ্লোবাল অর্গানাইজেশনে যোগদান করেছিলেন, তারপরে তিনি এই সংস্থাই তাকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের মাধ্যমেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্লাই করেছিলেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ডেক্সটিরিটি গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তথা বিহারের একজন সুপরিচিত সামাজিক উদ্যোক্তা শরদ সাগরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থার উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে, শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে ১০০ কোটিরও বেশি বৃত্তি পেয়েছে।

এই প্রসঙ্গে প্রেম কুমারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ‘আমেরিকার ২০টি কলেজে আবেদন করার পর ২টি কলেজে সিলেকশন হলেও দুটির কোনোটিতেই পূর্ণ বৃত্তি পাইনি। অবশেষে লাফায়েট কলেজে পূর্ণ বৃত্তি পেলাম। আগামী ৪ বছর আমার পড়াশোনার পুরো খরচ কলেজ নিজেই বহন করবে।’ প্রেম কুমার আমেরিকার লাফায়েট কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা যদি আমার জীবনের সিঁড়ি না হতো, তাহলে হয়তো আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম না।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মাধ্যমে আমি এই জায়গায় যেতে পারার সুযোগ পেয়েছি। আপনার যদি শিক্ষা এবং দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম থাকে তবে আপনি যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।’