টলিপাড়ার এক সময়ের জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ-রচনা। মাঝে পেরিয়ে গেছে কয়েকটা দশক কিন্তু এই জুটির উন্মাদনা এখনো তুঙ্গে। পর্দায় বহু তারকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন তারা। একসাথে জুটি বেঁধে তারা বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন একাধিক বেশি ছবি, যার প্রত্যেকটিই এক একটি সুপারহিট। তবে সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে এই জুটি।
যদিও বুম্বা-রচনার জুটির রসায়ন আজও অটুট। বিগত কয়েক দশক ধরে একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়েছেন তারা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে। এখন অবশ্য বড় পর্দায় আর দেখা যায়না তাদের। দুজনেই এখন নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। প্রসেনজিৎ ব্যস্ত তার ছবির প্রমোশন নিয়ে আর রচনা ব্যাস্ত তার দিদি নম্বর ১ নিয়ে।
বহুদিন একসাথে তাদের দেখা না গেলেও একটা সময় বঙ্গ সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করেছেন তারা। শেষবার যখন তাদের একত্রে দেখা যায় সেটাও আজ থেকে বহুদিন আগে। এই দিদি নম্বর ১ এর মঞ্চেই শেষবার একত্রে দেখা যায় প্রসেনজিৎ-রচনাকে। তিনি তখন ‘আয় খুকু আয়’ এর প্রচারে গিয়েছিলেন। সেসময় রচনার বাবা মারা গিয়েছিলেন।
সেসময় রচনার চোখের জল মুছে দেন বুম্বাদা। কিন্তু পর্দায় তাদের মধ্যেকার রসায়ন আরো বেড়ে ওঠে। আর সেটাই ধরা পড়েছে এক বাংলা মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। সেখানে তাদের সেই পুরনো রসায়ন আবারো জমে ওঠে। রচনা যেমন বলেন, ‘বুম্বাদা একা থাকলে আমি বিয়ে করতে চাইতাম।’
রচনার কথার প্রত্যুত্তরে প্রসেনজিৎ লজ্জা জড়ানো মুখে বলে ওঠেন, ‘শুনেই ব্লাশ করছি’! শুধু তাই না এরপরে প্রসেনজিৎ যা করেন তাতে অবাক হয়ে যান রচনা। রচনাকে জড়িয়ে ধরে প্রসেনজিৎ বলেন ‘লোকের সামনেও ওকে আমি এইভাবে আদর করতে পারি।’ আর তক্ষুনি লজ্জায় রাঙা আলতার মতো লাল হয়ে যান রচনা।
দিদি নম্বর ১ এও যখন তাদেরকে একসাথে দেখা যায় তখন তাদের রসায়ন বাংলার জনতার মধ্যে অন্যতম হিট হয়। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার এসে লিখেছিলেন ‘তোমাদের কেমিস্ট্রি আজও সেরা’। ভক্তরা এখনো আশা করে রয়েছেন তাদের একত্রে দেখার জন্য। যদিও তাদের একত্রে আবারো দেখা যাবে কীনা তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছ।
