আসন্ন নববর্ষে সিনে প্রেমীদের জন্য বড় উপহার নিয়ে আসছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। আসছে অভিনেতার নতুন ছবি ‘শেষ পাতা’ (Sesh Pata)। অতনু ঘোষের সাথে তৃতীয়বার কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি হিন্দি ওয়েব সিরিজেও চুটিয়ে কাজ করছেন। গত শুক্রবারই সিরিজের ৫টি পর্ব মুক্তি পেয়েছে।
বাংলার পাশাপাশি হিন্দি জগতেও ভালোই নাম কুড়িয়েছেন প্রসেনজিৎ। দুটি ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। একদিকে শ্রীকান্ত রায়, যিনি চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের গ্ল্যামারাস তারকা। অন্যদিকে খ্যাপাটে, ব্যর্থ লেখক ‘শেষ পাতা’র বাল্মিকী। মুখ ভরে রয়েছে সাদা দাড়ি, মাথার কাঁচাপাকা চুলের মধ্যিখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে টাক, আর চোখে রয়েছে মোটা ফ্রেমের চশমা।
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বুম্বাদা বলেন, “দুটো চরিত্রের মধ্যে একটাই মিল দুজনেই শিল্পী। একজন পরিচালক-প্রযোজক (শ্রীকান্ত রায়), অন্যজন লেখক (বাল্মিকী)। আমি যখন ‘মনের মানুষ’ করেছিলাম তার চার দিনের মধ্যে ‘অটোগ্রাফ’-এর শ্যুটিং শুরু করি। একটি চরিত্র ত্যাগী, অন্যটা ভোগী। আবার সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।…. শ্রীকান্ত রায়কে দর্শক পছন্দ করেছেন, আশা করছি বাল্মিকী চরিত্রটাও তাঁদের ভালো লাগবে”।
প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ-র বাল্মিকী চরিত্রটি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার অভিনেতা বলেন, ‘‘অভিনেতা হিসাবে নিজেকে দুটো জায়গাতেই দাঁড় করাতে হবে। যেখানে গ্ল্যামারাস দেখানোর সেখানে তা তুলে ধরতে হবে, আবার এটাও দেখাতে হবে উল্টোটাও পারি। সৌন্দর্যের খোলস ছেড়ে বেরোনোটা আমার কাছে জরুরি, কারণ জিনগতভাবে আমি সুন্দর। আমার বাবা-মায়ের ‘দোষ’ যাকে অস্বীকার করতে পারব না’’।
তবে তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘কাছের মানুষ’ রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রেক্ষাগৃহে। সেটা নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘‘পুজোয় হাউজফুল বোর্ড লাগিয়ে দেব। কাছের মানুষ খুব ভালো ছবি, তবে ওটা পুজোর ছবি ছিল না। আমি দেবকে বলেওছিলাম। আয় খুকু আয় টিভিতে দারুণ রেটিং পেয়েছে। কিন্তু দর্শক কোথাউ গিয়ে হয়ত যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেনি। সেটা আমার টেকো চেহারাও হতে পারে’’।
যদিও বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। বুম্বাদার কথায়, ‘‘ময়ূরাক্ষী, রবিবার, শঙ্খচিল-এর মতো ছবি বক্স অফিসের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয় না। যে ছবি বক্স অফিস হিটের কথা ভেবে তৈরি তা না-চললে খারাপ লাগে। কিছু কাজ তো এমনও করতে হবে, যাতে ২০ বছর পর যখন আমাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে তখন বলা যায় লোকটা এই কাজটা দারুণ করেছে’’।