ছোটবেলায় বন্ধুত্ব, সেখান থেকে মন দেওয়া নেওয়া, এবং প্রেম, তারপর বিচ্ছেদে শেষ গল্প। যেমন পর্দায় জনপ্রিয় তেমনই বাস্তব জীবনেও জনপ্রিয় ছিলো এই জুটি। কিছুটা সিনেমার গল্পের মতোই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়ের প্রেমকাহিনিটা। এই কাহিনীতে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, মান, অভিমান সব থাকলেও নেই হ্যাপি এন্ডিং।
একটা সময় এমন ছিলো যখন প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী থাকা মানেই ছবি সুপারহিট। কিন্তু বিচ্ছেদের পর থেকে ছবি করা তো দূর, মুখ দেখা দেখি নেই তাদের। তবে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও আজও তাদের নাম রয়েছে চর্চায়। যদিও ঠিক কী কারণে সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন এই দুই তারকা তা আজও সবার অজানা। তবে তাদের সম্পর্কের সাথে সাথে একটা কালজয়ী জুটিরও ইতি ঘটেছিলো একথা বলাই বাহুল্য।
প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর সম্পর্কের কথা বললে, ছোটোবেলা থেকে একে অপরের ভালো বন্ধু তো ছিলেনই তবে প্রেমের সম্পর্কটা গড়ে উঠেছিলো কর্ম জীবনে পা রাখার পর। একসাথে কাজ করতে করতে কখন যে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে তা বুঝতেই পারেনি কেউ। সাল ১৯৯২ তে একসাথে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দুজন। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, বিয়ের তিন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই সম্পর্কের ইতিও হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ-কে নিয়ে আলোচনা করার সময় বাঙালি একটু বেশিই রসালো আলোচনা করতে পছন্দ করে। একটা দুটো নয় মোট তিন তিনটে বিয়ে করেছেন তিনি। তারমধ্যে দেবশ্রীর সাথে ডিভোর্সটা যেন ঠিক মেনে নিতে পারেনি অনুরাগীরা। যদিও প্রসেনজিৎ হোক বা দেবশ্রী কেউই এই নিয়ে মুখ খুলেননি কোনোদিন। কিন্তু এবার আসন্ন ছবির স্বার্থে নিজের অতীত নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং বুম্বাদা।
খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে দেবের পরবর্তী ছবি ‘কাছের মানুষ’। আর এই ছবির প্রচারের জন্য বেশ কিছু উদ্ভাবনী পরিকল্পনা করেন দেব। আর এই প্রচারে এসেই প্রসেনজিৎ বলেন যে, বিচ্ছেদের পর কীভাবে হতাশায় ডুবে নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেছিলেন তিনি। ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে রাখতেন সেই সময়। পরে অবশ্য উপলব্ধি করেন যে, বন্দি করে রেখে লাভ নেই তাই তিনি আবারো ফিরে আসেন সিনে জগতে।
এইদিন প্রসেনজিৎকে আরো প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি যদি অতীতে ফিরতে পারতেন, কোনও সম্পর্ক ঠিক করতে পারতেন তাহলে কোন সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতেন? জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আমার জীবনে সম্পর্ক গড়েছে, ভেঙেছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার প্রথম স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে অনেকদিন কথা নেই, দেখাও নেই। দেখা হয়নি বলেই হয়তো কথা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু, আমি চাইব একবার দেখা করে বলতে যে, যাতে আমরা অন্তত বন্ধুত্বের জায়গায় চলে আসতে পারি।’