তিনি ভালো হোক বা মন্দ, দর্শক তাকে ভালবাসে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে (Tollywood) ৩০ টা বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরও তার জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। আর এই তিন দশকে দর্শকই যার সঙ্গী তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)।
সিলভার স্ক্রিনে কখনো তিনি প্রেমিক তো কখনও বা অ্যাকশন হিরো, নানা রূপে তিনি হয়ে উঠেছেন বাঙালির ‘মনের মানুষ’। নেটিজেনদের মতে, একটা ডুবতে বসা ইন্ডাস্ট্রিকে প্রায় একা হাতেই টেনে তুলেছিলেন বুম্বদা। তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন ইন্ডাস্ট্রি।
যদিও তাকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলার বিপক্ষে তিনি, বরং নিজেকে টলিউডের জৈষ্ঠ্যপুত্র হিসেবে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই বড় ছেলের জীবনে কি কোনো সমস্যা আসেনি? কেরিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে ঝড়। তবে কোনোকিছুই তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।
ঘুরে দাঁড়ানো যিনি আত্মস্থ করেছেন, তিনি তো ফিরবেনই। ফিরেওছেন। ঠিক যেমনভাবে ফিরেছিলেন দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর। প্রায় দেড় বছর নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি। আর সম্প্রতি রাজ্যের স্বনামধন্য সংবাদ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ।
প্রথম প্রেম দেবশ্রী সম্পর্কে তিনি জানান, ‘প্রথমত প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার জায়গাটা সবসময় আলাদা হয়। দ্বিতীয়ত, আমি খুব কম বয়সে বিয়ে করেছিলাম। যদি আরও পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, পরিণতভাবে তাহলে এই বিষয়গুলো সামলাতে পারতাম। কিন্তু আমি কখনও কোনও জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি, সব দোষ আমার।’
অভিনেতার কথায়, ‘বিয়ে ভাঙার পরে মনে হয়েছিল যে, আমি সকলের সামনে যাব কী করে? এই যে সবাই জানত যে আমাদের একে অপরের প্রতি প্রেম ছিল। তাহলে এখন সবাই ভাববে, আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিল না। প্রায় দেড় বছর নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলাম। তরুণ মজুমদারও বলেছিলেন এটাকে প্রশ্রয় দিও না।’
এখন কি দেবশ্রীর সাথে কথা বলা যায়? উত্তরে তিনি জানান, ‘আজকের দিনে দেখা হলে তো কোনও ব্যাপারই নয়। আমি সবসময় ওকে সম্মান দিয়েছি। আমি সবসময়ই বলি যে, আমাদের সময়ের সেরা অভিনেত্রী ও। এটা আমি বারংবার বলেছি। এখন আমরা বন্ধু হতেই পারি। অনেক বছর কেটে গেছে, মিশুকেরও বান্ধবী হয়ে গেছে। তাহলে কেন নয়?’