আর মাধবন,ধোকাঃ রাউন্ড ডি কর্নার,লাল সিং চাড্ডা,রক্ষাবন্ধন,বলিউড,বিতর্ক,R Madhavan,Dhoka: Round the corner,Laal Singh Chaddha,Rakshabandhan,Bollywood,Controversy

Moumita

‘সাউথের মাত্র ৬ টি ছবি নিয়ে মাতামাতি করছে দর্শকেরা, বয়কট হচ্ছে হিন্দি ছবি’, বিস্ফোরক মন্তব্য আর মাধবনের

বর্তমানে মানুষ আর বলিউড এর ছবি দেখতে চাইছে না। একের পর এক ছবির বয়কট করছে মানুষজন। বলিউডের ছবি ম্যানেজ বয়কট। আর মানুষ বলিউডের সেই জায়গা দিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা গুলোকে। একদিকে যেমন বিখ্যাত স্টারদের নিয়েও পদে পদে হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে বলিউডের সিনেমাগুলো, সেখানে সারা ভারতে তেমন পরিচিতি না পাওয়া দক্ষিণী সিনেমাগুলো ব্লকব্লাস্টার হিট প্রমাণিত হচ্ছে।

   

সম্প্রতি আমির খান এবং অক্ষয় কুমারের সিনেমা দুটি বক্স অফিস কালেকশন দেখে লজ্জায় পড়ে গিয়েছেন নির্মাতারা। তথাকথিত মিস্টার পারফেকশনিস্ট ‘আমির খান’ এর সিনেমা ১৮০ কোটির বিগ বাজেটে তৈরি হলেও মুক্তির ৬ দিন পর পেরোতে পারেনি ৫০ কোটির অংক। তেমনই অবস্থা খিলাড়ি কুমারের রক্ষাবন্ধনের। চলতে থাকা ‘বয়কট’ ট্রেন্ড নিয়ে একপ্রকার ঘুম উড়েছে ছবির নির্মাতা থেকে শুরু করে কলাকুশলীদের।

লাল সিং চাড্ডা মুক্তির আগে বয়কটের ডাক উঠতেই কেঁদে কেটে ক্ষমা চেয়ে নেন আমির খান। দর্শকদের আকুতি মিনতি করে আবেদন করেন সিনেমাটি দেখার জন্য। কিন্তু সাধারন মানুষ ভুলে যায়নি কীভাবে আমির খান দেশ এবং হিন্দু ধর্মকে অপমান করে চলেছেন পদে পদে। আর সেখান থেকেই ফ্লপ হয়ে যায় তথাকথিত মিস্টার পারফেকশনিস্ট এর অনেক সাধের সিনেমা।

অবশ্য এখানেই থেমে নেই দর্শকরা, এরপর আসন্ন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবি নিয়েও বয়কটের ডাক উঠতে শুরু করেছে। আর দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ছবির নির্মাতারা। এবার এসব নিয়েই মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক আর মাধবন ওরফে ম্যাডি। এই বয়কট ট্রেন্ডের মাঝেই সাফল্য পায় মাধবনের ‘রকেট্রিঃ দ্য নাম্বী এফেক্ট’।

বয়কট সম্পর্কে আর মাধবন স্পষ্টই জানান যে,যদি ভালো ছবি তৈরি করা হয়, তাহলে দর্শকরা এমনিতেই সিনেমা হলে যাবে। একই সময়ে আসতে চলেছে তার আসন্ন ছবি ‘ধোকাঃ রাউন্ড ডি কর্নার’। সেই ছবির প্রচারে সময়ই মাধবন বলেন যে, , ‘আমরা যদি ভালো ছবি তৈরি করি এবং দর্শকদের যদি সেটি ভালোলাগে, তাহলে তারা এমনিতেই সিনেমা হলে দেখতে যাবে’।

এরই সাথে মাধবন মুখ খোলেন হিন্দি বনাম দক্ষিণী সিনেমা নিয়ে। তিনি জানান যে, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, হিন্দি তারকাদের ছবির থেকে ভালো ব্যবসা করেছে হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমা। সেই ছবিগুলি হল, পুষ্পা, কেজিএফ’এর দু’টি সিনেমা, বাহুবলী’র দু’টি সিনেমা এবং আরআরআর। সাউথের মাত্র ৬টি সিনেমা চলেছে। আমরা এটাকেই একটি প্যাটার্ন ধরে নিতে পারি না। আমার মনে হয়, অতিমারীর কারণে দর্শকদের পছন্দ-অপছন্দ বদলে গিয়েছে। এখন তাঁরা সারা বিশ্বের কনটেন্ট দেখছে’।