সদ্যই মুক্তি পেয়েছে আর মাধবন পরিচালিত তথা অভিনীত ছবি ‘রকেট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’। বিশেষভাবে উল্লেখ্য এই যে, ছবিতে অভিনেতার পাশাপাশি, প্রযোজনা, পরিচালনা এবং গল্পকারের ভূমিকাও তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এতো বড়ো একটা দায়িত্ব নেওয়ার রিস্ক একা নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া খুব একটা সহজ ছিলোনা মাধবনের কাছে। তবে ইতিমধ্যেই তার নিখুঁত কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে সিনে ইন্ডাস্ট্রি সহ গোটা দেশ। তবে জেনে অবাক হবেন যে, বহুল চর্চিত এই অভিনেতার অভিনেতা হওয়ার কোনো ইচ্ছেই ছিলোনা প্রথম জীবনে।
শুধু তাই নয়, রীতিমত হীনমন্যতায় ভূগতেন নিজের গায়ের রং নিয়ে। হিরো হওয়া তো অনেক দূরের কথা গায়ের রং কালো হওয়ায় ভাবতেন যে তার হয়তো কখনো বিয়েও হবেনা। আর তার এই ধারণার পেছনে তার আত্মীয় স্বজনের হাত ছিলো বৈকি। তাকে যেই দেখতেন সেই বলতেন যে, মাধবন লম্বা এবং দেখতে ভালো হলে কী হবে, তাকে যে বেজায় কালো। এরকম কালো মানুষকে কোন মেয়ে পছন্দ করবে! আর এই কারণেই তার মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিলো যে তার মতো কালো ছেলের কখনই বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়।
এমতাবস্থায় তার পরিচয় হয় সরিতার সঙ্গে, এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মাধবন জানান যে সরিতা আসলে তার কাছে পাঠরত এক ছাত্রী। স্যারের পড়ানোর সাথে সাথে খোদ স্যারকেই যে কখন মন দিয়ে বসেছেন তা সরিতা নিজেও বোঝেননি। মাধবন জানান, সরিতা নিজে থেকেই প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জানিয়ে রাখি, সেই সময় হবে স্নাতক শেষ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য, মিলিটারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন মাধবন। কিন্তু বয়স কম থাকায় তিনি অ্যাপ্লাই করতে পারেননি। আর তাই তিনি ‘পাবলিক স্পিকিং ও পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ের উপর শিক্ষকতা করার কথা ভাবেন। পাশাপাশি সরিতা তখন বিমানসেবিকার পদে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে মাধবনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি।
সেই সময়ই প্রেম প্রস্তাব দেন সরিতা। মাধবনও যে সরিতাকে বিশেষ পছন্দ করতেন না তা নয়। বেশকিছুদিন একে অপরকে ডেট করার পর অভিনয় জগতে আসার আগেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজন। বিভিন্ন ছোটো ছোটো বিজ্ঞাপন, ছোটো পর্দায় অভিনয় দিয়ে শুরু তার যাত্রা। এরপরই হাতে আসে থ্রী ইডিয়টসের মতো বড়ো প্রোজেক্ট। এর পরবর্তী গল্প তো প্রায় সকলেরই জানা।
