Arijit

একসময় মাটিতে পড়ে থাকা মাখন খেয়ে অনুশীলন করতেন, সেই রবিই রূপো জেতালো দেশকে

যে কোন খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে খেলাধুলার সর্বোচ্চ মঞ্চ অর্থাৎ অলিম্পিকে পারফরম্যান্স করা এবং সেখানে পদক জিতে দেশকে গর্বিত করা। তবে অলিম্পিকে পদক জয় কোন সহজ ব্যাপার নয়। তার পেছনে থাকে অক্লান্ত পরিশ্রম, কঠোর অনুশীলন এবং পরিবারের অকুণ্ঠ সমর্থন। এই তিনটি জিনিস ছাড়া কখনোই এত বড় মঞ্চে সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয় না। সদ্য অলিম্পিক কুস্তিতে রুপো জেতা রবি কুমার দাহিয়ার জীবনেও ছিল অনেক প্রতিকূলতা। তবে সেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে তিনি অলিম্পিকে রুপোর পদক জিতলেন এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতকে গর্বিত করলেন।

   

যোগেশ্বর দত্ত, বজরং পুনিয়া, সুশীল কুমারকে দেখে ছোট থেকে কুস্তি শুরু করেছিলেন রবি কুমার। তখন থেকেই তার স্বপ্ন ছিল অলিম্পিকে পদক জয় কিন্তু দারিদ্রতার সংসারে তার এই লড়াই খুব একটা সহজ ছিল না। তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন ভাগচাষী। অন্যের জমিতে চাষ করে তিনি সংসার চালাতেন।

ছেলে রবি কুমার বাইরে কুস্তি শেখার জন্য গেলে শত কষ্টের মধ্যে দৈনিক 60 কিলোমিটার যাওয়া আসা করে ছেলের জন্য দুধ, মাখন, ফলমূল নিয়ে যেতেন বাবা রাকেশ দাহিয়া। একবার রবির জন্য নিয়ে যাওয়া মাখন অসাবধানতাবশত মাটিতে পড়ে যায় তবে সেই মাখন মাটি থেকে তুলে রবি খেয়ে নেন। কারণ রবি জানতেন তার বাবা কত কষ্ট করে এটা জোগাড় করেছেন।