বলিউড,বিনোদন,রাধিকা আপ্তে,বডি শেমিং,সার্জারি,Surgery,Bollywood,Entertainment,Radhika Apte,Body Shaming

Moumita

‘স্তনের আকৃতি ঠিক নেই’ সার্জারি থেকে বোটেক্স-র পরামর্শ, বডি শেমিং নিয়ে মুখ খুললেন রাধিকা আপ্তে

সেই ২০০৫ সালে Vaah! Life Ho To Aisi ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখা। তারপর থেকেই একের পর এক ছবিতে নিজের দূর্ধর্ষ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে দর্শকদের নিজের মোহ জালে আবিষ্ট করেছেন রাধিকা আপ্তে। বলিউড টু হলিউড বাদ পড়েনি কোনো ইন্ডাস্ট্রিই। হিন্দি, তামিল, মারাঠি, তেলেগু, বাংলা সহ একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তবে আজকে তিনি যে জায়গায় আছেন, অভিনয় জীবনের শুরুতেও কি সেখানেই ছিলেন তিনি? একদমই না, তাকেও পড়তে হয়েছে অনেক সমস্যায়।

   

এই মুহূর্তে হলি-বলি-টলি তিন জায়গাতেই সমানতালে নিজের জাদু দেখাচ্ছেন রাধিকা আপ্তে। নিত্যদিন নিজেকে ভেঙেচুরে ভারতের শীর্ষস্থানীয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় খোদাই করছেন নিজের নাম। বর্তমানে তাকে ওয়েব সিরিজের কুইন বললেও অত্যুক্তি হবে না। বহুমুখী প্রতিভাধর এই অভিনেত্রী অন্তহীন-এর মতো ছবিতে যেমন পারদর্শী ঠিক তেমনই সাবলীল Hunterrr, Manjhi The Mountain Man-এর মতো ছবিতেও। তবে অভিনয় জীবনের শুরুটা তার জন্য বিশেষ সুখকর ছিলোনা। শুনতে হয়েছে বহু কটুক্তি, গায়ের রং থেকে শুরু করে বাদ যায়নি তার শরীরের গঠনও।

বলিউড,বিনোদন,রাধিকা আপ্তে,বডি শেমিং,সার্জারি,Surgery,Bollywood,Entertainment,Radhika Apte,Body Shaming

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার সাথে হওয়া এই ঘটনাগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। তিনি জানান বলিউডে পা রাখার পর তাকে শুনতে হয়েছিলো যে তার স্তনের আকার নাকি ঠিক নয়। স্তন সহ একাধিক অঙ্গের সার্জারি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে। তিনি জানান তখন তিনি একেবারেই আনকোরা ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে, বুঝতেন না এতো মারপ্যাঁচ। তিনি জানান, “কখনও বলা হয়েছে আমার পায়ে সার্জারি করতে। কখনও বলা হয়েছে Jawline ঠিক করাতে। কখনও বলা গিয়েছে গালে অসুবিধা রয়েছে। এমনকী বোটক্স করানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।”

এখানেই থেমে থাকেনি বডি শেমিং, চুলচেরা বিশ্লেষণ হয় তার গায়ের রং নিয়েও। রাধিকা জানান, নিজের চুল রং করার জন্যেও ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ছিলো শরীরে একটা ইঞ্জেকশনও ফোটাবেন না তিনি। তবে এইসব কথায় রাগ হলেও খুব বেশি চাপ নিতেন না অভিনেত্রী। কারণ দিনশেষে রাধিকা জানেন তার শরীর তার একান্তই নিজের। আর সেকারনেই সমস্ত কটুক্তিকে অগ্রাহ্য করে দিন দিন নিজেকে গড়ে তুলছেন নিজেকে। সবকিছুর শেষে রাধিকার একটাই কথা, শি লাভস হার বডি।