চাষ,বাঁশ চাষ,মুনাফা,ভারত,Farming,Bamboo Cultivation,Profit,India

Moumita

কম খরচে বেশি মুনাফা, বাঁশ চাষ করেই করুন কোটি কোটি টাকা আয়, পাবেন সরকারি ভর্তুকিও

রাস্তাঘাটে, গ্রামের আনাচে কানাচে তাকালে চারিদিকেই বেশকিছু বাঁশঝাড় দেখতে পাই। যার বৈজ্ঞানিক নাম Bambusa vulgaris। বৃহৎ আকৃতির ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ আমাদের বহু কাজে লাগে। ভারতে তো বহুল পরিমানে দেখা যায় এই গাছ। কিন্তু একথা খুব কম মানুষই জানেন যে, বাঁশ থেকে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। আর এই বাঁশ থেকেই কোটি কোটি টাকা আয় করছেন এক কৃষক।

   

হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পেট্রোল কে যেমন কালো সোনা বলা হয়, একইরকমভাবে ‘বাঁশ’ বিখ্যাত সবুজ সোনা নামে। একদম অনুর্বর রুক্ষ শুষ্ক জমিতেও বিরাট ভালো বাঁশ চাষ হয়। এই উদ্ভিদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি একবার বড় হলে এটি ৩০ বছর ধরে কাটা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে এর থেকে সুফল পাওয়া যায়, তাই এই গাছটিকে ‘দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ’ও বলা হয়।

পাশাপাশি এতে মুনাফাও দারুন। আর এখন তো বাঁশ চাষে সরকারি সাহায্যও পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি জানিয়ে রাখি বাঁশ চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ এবং অনেক বেশি লাভজনক। এছাড়া বাঁশের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো কোনো মৌসুমেই বিরাট ক্ষতি হয় না। না প্রয়োজন হয় খুব বেশি সেচের আর না প্রয়োজন হয় খুব বেশি জায়গার।

চাষ,বাঁশ চাষ,মুনাফা,ভারত,Farming,Bamboo Cultivation,Profit,India

মহারাষ্ট্রের রাজ শেখর পাটিল এমনই একজন কৃষক যিনি শুধুমাত্র বাঁশ চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। সূত্রের খবর, তিনি তার খামারের সীমানায় প্রায় চল্লিশ হাজার বাঁশ গাছ লাগিয়েছেন। এরপর তিনি সেই বাঁশ বিক্রি শুরু করেন এবং প্রথম বছরেই তার এক লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি হয়। শুনে অবাক হবেন যে, পরের দুই বছরের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বাঁশ বিক্রি করেছেন তিনি।

চাষ,বাঁশ চাষ,মুনাফা,ভারত,Farming,Bamboo Cultivation,Profit,India

রাজ শেখর বুঝে যান বাঁশ চাষ খুবই লাভজনক। এরপর প্রায় ৩০ একর জমিতে বাঁশ চাষ করেন তিনি। আর তাতেই বদলে যায় রাজ শেখরের জীবন। আজ সে এক সামান্য চাষী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক। পরবর্তীকালে বাঁশ চাষের জন্য আরো ৫৪ একর জমি কিনেছেন তিনি। এখানে বলে রাখি, এই বাঁশ চাষের জন্য, কৃষকরা প্রতি গাছের জন্য সরকারের থেকে ১২০ টাকা (Indian Rupee) করে সহায়তা পাবেন।