Papiya Paul

মুম্বাইয়ের রাস্তায় না খেয়েই কাটতো সারা রাত, অনেক পরিশ্রমের পর আজ বলিউডের সেরা কোরিওগ্রাফার রেমো

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার পরিচালক রেমো ডিসুজাকে আজ সকলেই চেনেন। নতুন করে তার পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের জায়গা গড়ে তুলেছেন তিনি। নাচের জগতে তাই আজ তাকে রাজা বলে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু তার সফলতার কাহিনী এত সহজ ছিল না। অনেক রাত তিনি না খেয়ে কাটিয়েছেন। কাজের সন্ধানে মুম্বাইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি।

   

তবে আজকে তিনি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭২ সালের ২ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন রেমো। তার আসল নাম রমেশ গোপি। যদিও এই নামে তাকে খুব কম মানুষই চেনেন। পড়াশোনা করতে করতে মাঝপথেই তিনি পড়াশোনা ছেড়ে নাচের জন্য মুম্বাই চলে আসেন। কিন্তু কখনোই তিনি নাচের প্রশিক্ষণ নেননি। শোনা যায়, রেমো যখন মুম্বাই এসেছিলেন, তখন তার কাছে খাওয়ার টাকা পর্যন্ত ছিল না। বহুদিন মুম্বাইয়ের রাস্তায় না খেয়ে রাত কাটিয়েছেন তিনি।

এরপরে আমির খান এবং উর্মিলা মতন্ডকরের ব্লকবাস্টার ছবি ‘রঙ্গিলা’ তে নাচের সুযোগ পান। আর সেটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এখানেই তিনি কোরিওগ্রাফার আহমেদ খানকে সহায়তা করেন। এরপর তিনি সোনু নিগমের অ্যালবাম ‘দিওয়ানা’তে কোরিওগ্রফি করার সুযোগ পেয়েছিলেন যা সুপারহিট হয়েছিল। এরপর একের পর এক ছবিতে কোরিওগ্রাফি করার সুযোগ পেতে থাকেন তিনি। এই কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে তিনি অনেক পুরস্কার জিতেছেন।

এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নাচের পরিচালনা করার সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। এবিসিডি, রেস থ্রি, ফালতু এই ছবিগুলো পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রেমো। এখন তিনি বহু নাচের রিয়েলিটি শো’র বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। রেমো ও তার স্ত্রী লিজেলকে খুব ভালোবাসেন। তিনি একসময় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমার স্ত্রী একজন সুপারওম্যান। যেভাবে সে বাড়ি, বাচ্চা, অফিস এবং ফিল্ম সব কিছু পরিচালনা করে। এ জন্য তাকে যত ধন্যবাদ জানানো কম হবে।” বর্তমানে দুই ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার করছেন এই দম্পতি।