আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেভিংস(Savings)। প্রত্যেক মানুষেরই তার উপার্জনের একটা নির্দিষ্ট অংশ সেভিংসের জন্য রাখা উচিত। এমতাবস্থায় আমরা সবসময়ই ব্যাঙ্কেই(Bank) এই টাকা রেখে থাকি। এক্ষেত্রে সুরক্ষার পাশাপাশি পাওয়া যায় অনলাইন(Online) লেনদেনের সুবিধা। এমনকি কাউকে এমার্জেন্সি(Emergency) টাকা পাঠানোর দরকার হলে তাও হয়ে যায় নিমেষেই।
এইসব সুবিধা তো রয়েইছে, পাশাপাশি একটা ভালো সুদও পেয়ে যান আপনি। সবে মিলিয়ে বলাই যায় যে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা আসার পর থেকে অনেকটাই সহজ হয়েছে মানুষের জীবন। কিন্তু আপনি কি জানেন অ্যাকাউন্টে ঠিক কত টাকা রাখা উচিত? এই বিষয়টিই জানাবো এই প্রতিবেদনে।
৫০/৩০/২০ নিয়ম কী? এটা বেশ জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি, এক্ষেত্রে মোট টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। সেখানে ৫০ শতাংশ থাকে আপনার প্রয়োজন এরপরের ৩০ শতাংশ থাকে আপনার চাহিদা আর ২০ শতাংশ থাকে সঞ্চয়ের জন্য। এখানে প্রয়োজনীয়তা হলো আপনার দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় খরচ। ‘চাহিদা’ হল সেটা টাকা যা ব্যয় করা হয় কিন্তু সেটা প্রয়োজন এর মধ্যে পড়েনা। আর সঞ্চয় হলো যেটা আপনি ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখছেন।
ব্যাঙ্কে কত টাকা রাখা যাবে : সূত্রের খবর, সাধারণত কোনো একক আমানত অ্যাকাউন্টের জন্য গ্রাহক ১০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা রাখার অনুমতি পায়। এর বেশি টাকা রাখতে চাইলে আলাদা করে আবেদন করতে হবে গ্রাহককে। এবার ব্যাঙ্ক যদি তাতে কোনো সমস্যা দেখে সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ব্যাঙ্ক।
আপনি সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকা রাখবেন : সেভিংস অ্যাকাউন্ট মানে যেখানে গ্রাহক তাদের টাকা জমিয়ে রাখে। মূলত ভবিষ্যতের জন্যই এই টাকা জমিয়ে রাখে মানুষ। অনেকে আবার নিজের স্বল্পমেয়াদী খরচের জন্যেও এখানে টাকা রাখেন।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গড়ে কত নগদ রাখা যায় : মূলত চেকিং অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মানি মার্কেট অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ তহবিলের জন্য ‘কল ডিপোজিট’ অ্যাকাউন্ট এবং প্রিপেইড ডেবিট কার্ড অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ডলার রাখতে পারেন।