টলিপাড়ার (Tollywood) একজন তুমুল চর্চিত অভিনেত্রীর নাম হল ঋতাভরী চক্রবর্তী(Ritabhari Chakraborty)। ছোট পর্দা দিয়ে শুরু করলেও এখন তার নামডাক পৌঁছে গেছে বলিউডেও। বলি ডিভা ক্যাটরিনার সাথে বেশ কিছু ফোটোশুটও সেরে ফেলেছেন। পাশাপাশি পুরুষমহলে অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা দেখার মতো। ‘বং ক্রাশ’এর শিরোপাও রয়েছে এই নায়িকার দখলেই।
নায়িকার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায় তার জনপ্রিয়তা। প্রতিটি ছবিতে এরকম লাইক, শেয়ার কমেন্টের বন্যা খুব কম অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অনুরাগীদের মতে ঋতাভরীর সবকিছুই একে বারে পারফেক্ট। কিন্তু জানেন কি এই অভিনেত্রীকেও হতে হয়েছে বডি শেমিং-র শিকার।
আসলে সাম্প্রতিক অতীতে নেটিজেনদের একাংশ ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে বহু কটাক্ষ করেছেন তাকে। তার সৌন্দর্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। একজন হিরোইন এরকম মোটা কীভাবে হয়? তার শারিরীক পরিবর্তনটা যেন মানতেই পারেননি নেটিজেনদের একাংশ।
আসলে মডেল কিংবা অভিনেত্রী মাত্রই ছিপছিপে চেহারা থাকাটা বাধ্যতামূলক, এই ধারণাটাই গেঁথে আছে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে। আর মানুষের সেই ভাবনা বদলানোর জন্য একটা আস্ত সিনেমাই বানিয়ে ফেলেছেন ঋতাভরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি ট্রোলিং।
এটা হয়ত অনেকেই জানেন যে, অস্ত্রোপচার করার পর এই টলি ডিভার প্রায় ৭ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এরপর অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘ফাটাফাটি’। ‘ফাটাফাটি’র জন্যেও আরও ওজন বাড়ান তিনি। সেটা কিন্তু ১-২ কেজি নয়, এক্কেবারে ২৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন ঋতাভরী।
আর সেই সময়ই শুটিংয়ের পর ডাবিং করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ঋতাভরী। ছবির গল্পটা যেন আরো বেশি করে ছুঁয়ে গেছিল তাকে। আসলে বাস্তব জীবনে মোটা হওয়ার কারণে বহু মানুষকে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ থেকে পিছিয়ে পড়তে দেখেছিলেন তিনি। আর সেইসব মনে করেই ভিজে গেছিল ঋতাভরীর চোখ।