সময়ের সাথে সাথে বদলেছে চলচ্চিত্রের ধরণও। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে রঙীন ছবির যুগ এসেছে এমনকি সেলুলয়েড পেরিয়ে বেড়েছে ডিজিটাল ছবির রমরমা। একাধিক তারকা পেয়েছে ‘মহানায়ক’ এর মতো সম্মাননা। কিন্ত বাঙালির মননে ‘মহানায়ক’ তো একজনই ছিলেন, আর ওই একজনই থাকবেন। মৃত্যুর ৪২ বছর পরেও স্বর্গীয় উত্তম কুমারের স্মৃতি আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
তাঁকে নিয়ে নস্টালজিয়া বোধহয় কোনোদিনই শেষ হওয়ার নয়। গতকাল অর্থাৎ ৩ রা সেপ্টেম্বর ছিলো মহানায়কের জন্মদিন। কত দূর্দান্ত ছবি যে বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়, সকলের শ্রদ্ধেয় উত্তম কুমার মারা যাওয়ার পর তৎকালীন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ‘মহানায়ক’ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আর চলতি বছরের জুলাই মাসেই এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন টলি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান। ঘটনার পর গোটা সোশ্যাল মিডিয়া এই নিয়ে ছয়লাপ হয়ে গেলেও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। শোনা যায় উত্তম কুমারের বড্ডো স্নেহের পাত্রী ছিলেন অভিনেত্রী। আদর করে তার নাম দিয়েছিলেন ‘সাবু’। সমালোচকরা তো এটাও বলে যে, উত্তম কুমারের জন্যই নাকি আজও অবিবাহিত থেকে গেলেন সাবিত্রী দেবী। সম্প্রতি মহানায়কের জন্মদিনে যখন তাকে নতুন মহানায়ক সম্পর্কে অবগত করা হয়, তখন একপ্রকার চমকেই ওঠেন এই প্রবীণ অভিনেত্রী।
প্রথমত, তিনি এটাই জানতেন না যে রাজ্যে এরকম কোনো সম্মাননার আয়োজন করা হয়েছে বলে। আর এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার সোহম, নুসরাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে শুনে রীতিমত আকাশ থেকে পড়েন তিনি। তবে খানিক পরেই নিজেকে সামলে নিয়ে অভিনেত্রী বলেন যে, এইসব খবরে আজকাল আর কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে ইচ্ছে করে না তার। কারণ এখানে জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে কিছু হয় না।
অভিনেত্রীর বড্ডো স্পষ্ট কথা, এ সম্মান কোনো খেলনা নয় যে হাতে তুলে দিলেই তার যোগ্য হওয়া যায়। এই সম্মান অর্জন করতে হয়। আর এই জায়গা এখনও পর্যন্ত কেউ নিতে পারেনি। যদিও পরবর্তীকালে কী হবে তিনি জানেননা। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড ‘বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান’ এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে অভিনেত্রী বলেন, “আমাকে কিংবা উত্তমবাবুকে কখনও বলতে হয়নি ছবির পাশে এসে দাঁড়াতে। চিরকালই দর্শকের অনেক ভালবাসা পেয়েছি। অনেক কিছুই এখন দেখছি, আগে সে সব দেখিনি।”