Papiya Paul

হুবহু মিলে গেল ‘শাকা লাকা বুম বুম’-এর ভবিষ্যদ্বাণী! ম্যাজিক পেন্সিলে আঁকা ছিল ২০২২ সাল!

নব্বইয়ের দশকের বাচ্চা ছেলেমেয়েদের কাছে শক্তিমান, সোন পরী, শরারত, হাতিম, করিশ্মা কা কারিশমার মতো টিভি শো-গুলির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এই শো-গুলি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকত খুদেরা। এমনই এক ম্যাজিক শো ছিল শাকা লাকা বুম বুম। আসলে শুধু ম্যাজিক বললে ভুল হবে, ম্যাজিক পেনসিলে ভর দিয়েই খুদেদের মন মাতিয়েছিল ছোট্ট সঞ্জু। এই সঞ্জুর আসল নাম কিংশুক বৈদ্য। এই ছেলে ম্যাজিক পেন্সিলের মাধ্যমে তার আশেপাশের বন্ধু-বান্ধবদের নানা সমস্যা মিটিয়ে ফেলতো।

   

এই সিরিয়ালে এমন কিছু জিনিস দেখানো হয়েছিল, যার সঙ্গে বর্তমান সময়ের বেশ কিছু সাদৃশ্য পাওয়া যায়। আসলে ব্যাপারটা কাকতালীয় হলেও বাস্তবে কিন্তু সত্যি ঘটে গিয়েছে। এবার প্রশ্ন কী কী মিল রয়েছে রিল আর রিয়েলে লাইফ? তাহলে একবার জেনে নিন, এই আশ্চর্য ব্যাপার..

১) SMECA – এই সিরিয়ালে দেখানো হয়েছিল ভবিষ্যতের মাটিতে পা দেওয়ার পর সঞ্জু নিজের স্কুলে যায়। আর তখন তার কাছে SMECA চাওয়া হয়। এটি হল একটি স্মার্ট ইলেকট্রনিক কার্ড। ওই কার্ডটি আসলে নাগরিকদের পরিচয় পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে ২০২২ সালে, এমনটাই সিরিয়ালে দেখানো হয়েছিল। এখনকার জীবনে এই SMECA-র আধার কার্ডের ভীষন মিল রয়েছে। এটিকে তখন অবিকল আধার কার্ডের মতোই ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কার্ডটিও তখন বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই তৈরি করা হত।

২) সার্ভেল্যান্স ক্যামেরা(CCTV Camera)- ২০০০ সালে এই ধরনের কোনো ক্যামেরার ব্যবহার ছিল না ভারতে। কিন্তু তখন ওই শো-এর নির্মাতারা এই ক্যামেরা দেখিয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল, ২০২২ সালে অপরাধের হার কমানোর জন্য CCTV Camera র ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে CCTV Camera। এখন সব কাজেই এই ক্যামেরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সত্যিই পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে এখন খুব কাজে দেয় এই ক্যামেরা।

৩) স্বয়ংক্রিয় গাড়ি- ওই শো-তে দেখানো হয়েছিল সঞ্জু ভয়েস কন্ট্রোলড ট্যাক্সি বুক করেছিল সেই ২০০০ সাল নাগাদ। কিবোর্ড ব্যবহার করে গন্তব্যস্থল ব্যবহার করেছিল সে। আর এই গাড়ি ছিল চালকবিহীন। আর এই সময়ে এখন এরকমই ড্রাইভারলেস সেলফ ড্রাইভিং কার লঞ্চ করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলা। এছাড়া ভারতেও এখন স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ক্যাব বুক করা যায়।

৪) গুগল ম্যাপ- এই শো-এর চতুর্থ সিজনের একটি এপিসোডে দেখানো হয়েছিল, এক সাইবার হ্যাকারকে খোঁজার জন্য বিশেষ ধরনের ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল। এই গাড়ির মধ্যে আবার সতর্কতামূলক একটি ডিভাইসও ছিল। বর্তমানে গুগুল ম্যাপ কিন্তু সেই কাজ করছে। তাহলে বুঝতে পারছেন এখনের সাথে তখন নির্মাতাদের চিত্রনাট্যের কত মিল রয়েছে।