বলিউড,বিনোদন,গসিপ,সাক্ষাৎকার,শর্মিলা ঠাকুর,রাজেশ খান্না,Bollywood,Entertainment,Gossip,Interview,Sharmila Tagore,Rajesh Khanna

Moumita

‘বাধ্য হয়ে রাজেশ খান্নার সাথে ছবি করা বন্ধ করি’, কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর!

ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের প্রথম ঘোষিত সুপারস্টার তিনি। তার একটা ইঙ্গিত যেমন কারো কেরিয়ার তৈরি করতে পারতো আবার বরবাদও করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতো। মোট ১৬৩ টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের এবং ১৭ টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আর এহেন প্রভাবশালী অভিনেতার সাথে ছবি করা বন্ধ করে দেওয়ার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। কিন্তু কী এমন ঘটেছিলো যাতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন!

   

যাট-সত্তরের দশকে রাজেশ খান্না-শর্মিলা ঠাকুরের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রির দাপট তুঙ্গে। ‘আরাধনা’, ‘সফর’, ‘অমর প্রেম’, আবিষ্কার’, ‘রাজারানি’-র মতো একাধিক ছবিতে দুজনের কেমিস্ট্রি মুগ্ধ করেছিলো দর্শকদের। পরিচালক, প্রযোজকদের কাছেও এই জুটির চাহিদা ছিল বিশাল।

কিন্তু এমন সময় ‘কাকা’র কিছু বদ অভ্যাসের কারণে তার সাথে ছবি করা বন্ধ করে দেন শর্মিলা ঠাকুর। ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি। এইদিন এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা নিজেই ফাঁস করলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী’।

সত্তর দশকের জনপ্রিয় নায়িকা জানান, ‘‘শ্যুটিংয়ে খুব দেরি করে আসতেন কাকা। শ্যুটিং শুরুর নির্ধারিত সময় যদি থাকত সকাল ন’টায়, কাকা আসতেন বেলা বারোটায়। এটা বার বার ঘটছিল আমার সঙ্গে। এবং লাগাতার হতে হতে সহ্যের সীমা পেরোচ্ছিল। তখন হিন্দি ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি ছিলাম আমরা। তা সত্ত্বেও বিরক্ত হয়ে রাজেশের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’’

এ তো গেলো হিরোর কথা, কিন্তু ব্যক্তি রাজেশ খান্না কেমন ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরেও অকপট অভিনেত্রী। তিনি জানান,‘‘অন্তর্বিরোধে ভরা জটিল মনের মানুষ ছিলেন কাকা। বন্ধু, আত্মীয়দের দামি উপহারে ভরিয়ে রাখতেন। কাউকে তো বাড়িও কিনে দিয়েছেন। কিন্তু এর পরিবর্তে ওঁর চাহিদাও ছিল অনেক বেশি। আর তাতেই সম্পর্ক ভেঙে যেত।’’

২০১২ সালের ১৮ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত জীবন খুব একটা সুখকর ছিলোনা সত্তরের দশকের এই দাপুটে অভিনেতার। বয়সে অনেকটাই ছোটো ডিম্পল কপাডিয়াকে বিয়ে করেন কিন্তু কালের প্রবাহে সেই সম্পর্কও টেকেনি। এরপরই দীর্ঘদিন টিনা মুনিমের সাথে লিভ ইন সম্পর্কেও ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০১১ সালের দিকে জানা যায় মারণ ব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে তার পাচনতন্ত্রে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ক্যান্সার তার জয় নিশ্চিত করে।